রাজনীতিতে এসেছি সত্য কথা বলার জন্য কিছু পাওয়ার জন্য না : শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : রাজনীতিতে এসেছি সত্য কথা বলার জন্য কিছু পাওয়ার জন্য না মন্তব্য করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, করোনাকালে আমরা দেখতে পাচ্ছি দেশে শিক্ষিত লোকেরা সব চুরি করছে। এখন আমার মনে হচ্ছে বাংলাদেশেসহ বিভিন্ন দেশে ইবলিস শয়তানও বলতেছে আমারতো এখানে দরকার নাই। অনিয়ম এখন নিয়ম হয়ে যাচ্ছে। আমি টেলিভিশনের টক শো তে অনেক কথা বলতেছি। মানুষের কাছে প্রশ্ন আমি সরকারী দলের এমপি হয়ে কেন এতো কথা বলি। কারন আমি কথা বলার জন্য তৈরি হয়েছি। রাজনীতি করতে এসেছি সত্য কথা বলার জন্য। কিছু পাওয়ার জন্য না। ২৬ জুলাই রবিবার দুপুরে ইসদাইর শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কপ্লেক্স ভবন কক্ষে করোনা ভাইরাসের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ খেলোয়ারদের মাঝে আর্থিক অনুদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসকল কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমি একটা কথা বলতে ক্লিয়ার বলতে চাই। আর তা সবার মাথায় রাখতে হবে। এখন কিন্তু খেলা চলতেছে। দেশে প্রচন্ড ষড়যন্ত্র চলছে। বিভিন্ন ধরনের হত্যা সহ দেশকে ৭৫ এর পরের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। দেশকে ধ্বংস করার জন্য এ ষড়যন্ত্র । বিদেশের মাটিতে বসে এ ষড়যন্ত্র দেশে বসে হচ্ছে হচ্ছে।

এমপি শামীম ওসমান বলেন, আমি সবার কাছে সাহায্য চাই। বিশেষ করে সাংবাদিকদের কাছে । আমরা নারায়ণগঞ্জটাকে ঠিক করতে চাই। ঈদের পর আমরা নারায়ণগঞ্জটাকে ঠিক করবো। এখনতো নিয়ম অনিয়মে পরিনত হচ্ছে। আর অনিময় নিয়মে পরিনত হয়ে যাচ্ছে। যেখানেই অনিয়ম পাবো ওই খানেই ব্যবস্থা নিবো। যার বিরুদ্ধেই পাবো তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিবো। আমার বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম পেলে তাও লিখতে হবে। যদি না লিখেন তাহলে আপনারা আল্লাহর কাছে ঠেকা থাকবেন।

সাংবাদিক প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, যদি একজন সাংবাদিকের উপর আঘাত আসে, তাহলে সবাই একসাথে চাকরি ছেড়ে দিবেন। কিন্তু হলুদ সাংবাদিকতা না। পয়সা খাওয়া কিংবা ধান্ধাবাজি সাংবাদিকতা না। আমি মনে করি আপনারা এ বিষয়টা মাথায় রাখবেন। আমি জেলা প্রশাসক এবং এসপি সাহেবকে বলেছি অন্য জায়গায় কি হচ্ছে তা বাদ দেন। আমরা আমাদের এলাকা ধরবো। প্রয়োজনে আমি আপনাদের সাপোর্ট দিবো।

তিনি আরো বলেন, আমাকে সাপোর্ট কইরেন না, আমার বিপক্ষে লিখেন। আমার কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু চলেন আমরা আমাদের অনিয়ম গুলো ঠিক করি। আমি ঈদের পরে আপনাদের নিয়ে বসবো। আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে দেখবেন নারায়ণগঞ্জ কোন জায়গাটায় এসে দাড়ায়। কত সুন্দর এলাকা আমাদের নারায়ণগঞ্জ হয়। ঈদের পর থেকেই শুরু হবে টেন্ডার। এরপর দুটো কাজ বাকী থাকবে। আমি আশা করি দুটো কাজই করতে পারবো। নারায়ণগঞ্জ হবে ঢাকার চেয়ে সুন্দর। তারপর রাজনীতি করলাম না করলাম তা পরের হিসাব।

শামীম ওসমান বলেন, আমি আসার সময় চাষাড়ার মোড়ে জ্যামে আটকে রইলাম। দেখলাম এখানে যেসব গাড়ি চলতেছে ওই সকল গাড়ির একটিরও এখানকার রুট পারমিট নাই। আমি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বলছি, রুট পারমিট ছাড়া গাড়ি যদি এখানে চলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

জেলা প্রশাসকের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের রূপায়নের পরেই সরকারী জায়গা। আমি আসার সময় দেখলাম ওই খাস জায়গা ভরাট করে ঘর তুলে ফেলছে। প্রথমে ঘর তুলবে তারপর আপনারা ভাঙ্গবেন, ঘর তোলার আগে ভাঙ্গবেন না কেন? আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঘরে বাইরে সহ নেত্রীর সামনে, এমনকি পার্লামেন্টে আমি ন্যায্য কথা বলবো। চোরকে চোর বলবো এবং ওদের ছাড়বো না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন, ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ টিটু, সহ-সভাপতি ইব্রাহীম চেঙ্গিস, জেলা করোনা ফোকাল পার্সন ডা: জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের পরিশেষে নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ খেলোয়ার, প্রশিক্ষক, ক্রীড়া সংগঠক, ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের ব্যক্তিদের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

add-content

আরও খবর

পঠিত