রসুলপুরে কিশোর গ্যাং এর তৎপরতায় অতিষ্ট এলাকাবাসী

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিবেদক ) : রূপগঞ্জ তারাব পৌরসভার রসুলপুর ৯নং ওয়ার্ডে কিশোর গ্যাং এর তৎপরতায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। প্রতারণার ফাঁদে ফেলা, মারধর করা, টাকা ছিনিয়ে নেয়া, মাদক সেবন ও বেঁচাকেনা সহ নিরীহ মানুষের যম এ কিশোর গ্যাং। যাদের নিয়ন্ত্রন করার অভিযোগ উঠেছে রসুলপুরের হোসেন আলীর ছেলে তারিফ ও আরিফ বিরুদ্ধে। তবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিপক্ষে কেউ কথা বলে না। আবার কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলেও হুমকি-ধমকি দিয়ে ভীত করে রাখা হয়। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রিত কিশোর গ্যাং দিয়ে গড়ে তুলেছে অপরাধের এক ভিন্ন জগৎ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, রসুলপুর বাজারে ক্যারাম বোর্ড খেলার জন্য ঘর ভাড়া দিয়ে তারা কিছু বখাটেদের একত্র করে রাখে। আর সেখান থেকেই দিক নির্দেশনা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয় রসুলপুরের নানা অপরাধ কর্মকান্ড। মাদক সেবন ও বিক্রি, ছিনতাই, ফিটিংবাজির পরিকল্পনা হয় ওই ক্যারাম ঘর থেকেই, আর এসবের নেতৃত¦ দেয় তারিফ ও আরিফ। তাদের কাছে নারী ও পুরুষ কোন ভেদাভেদ নেই। মতের বিপক্ষে গেলেই মারধর করা হয়। এলাকার ভাড়াটিয়াদের নানাভাবে অত্যাচার করে তারা। স্থানীয়রা রেহাই পায়নি তাদের অত্যাচার থেকে।

জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমেনা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করারও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার ( ১৫ আগস্ট ) রাতে রসুলপুর এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। রসুলপুর এলাকার হারুন মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগম এ ঘটনায় রুপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, একই এলাকার তারিফ ও আরিফের সাথে আমেনা বেগমের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এর জেরে ওই রাতে বাড়িতে যাওয়ার সময় রসুলপুর শরীফের চায়ের দোকানের সামনের রাস্তায় তারিফ ও অজ্ঞাত ৩/৪ জন আমেনা বেগমের পথরোধ করে তাকে এলাকার ছেড়ে চলে যেতে বলে। আমেনা এলাকা ছেড়ে চলে যাবে না প্রতি উত্তর দিলে তারিফ লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আমেনাকে জখম করেন। পরে স্থানীয়রা আমেনা বেগমকে উদ্ধার করে রুপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এদিকে এ ঘটনায় আমেনা বেগম থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ এসে তারিফকে আটক করে। কিন্তু থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে আবারো স্থানীয় প্রভাবশালীরা সুষ্ঠু বিচারের আশ^াস দিলে আপোস মীংমাসার কথা বললে তারিফকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে এটাই প্রথম নয় এ ঘটনার ৪ মাস আগেও আমেনাকে মারধর করছিল তারিফ ও আরিফ। তখন স্থানীয়রা ঘটনাটি মীমাংসা করে দিয়েছিল। তবে সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় ধমানো যাচ্ছেনা তাদের। একাধিকবার পার পেয়ে যাওয়ায় চালিয়ে যাচ্ছে একের পর এক অপরাধ।

এ ঘটনার তদন্তকারী রুপগঞ্জ থানার এসআই খাইরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে আসামিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পথে বাদীর কথা মতো তারিফকে ছেড়ে দেয়া হয়। তারা ঘটনা আপোস মীমাংসা করে ফেলে।

add-content

আরও খবর

পঠিত