নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : রমজান ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেব ডিবি পুলিশ সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য সকল থানায় অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার সহ ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ৪ ডাকাত হলো নরসিংদীর মাধবদীর বিবির কান্দি এলাকার আব্দুল মতিনের ছেলে মন্টু ওরফে ইব্রাহীম (৩০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরের জগন্নাথপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলমের ছেলে সুমন (২৪), নরসিংদীর শিবপুরের হাজী বাগান এলাকার আকবর আলীর ছেলে লাল মিয়া (৫২) ও নেত্রোকোনা জেলার বারহাট্টার যোগিসালন এলাকার সাব্বির আলীর ছেলে সাগর আলী (৩৩)। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবিৃতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক গিয়াসউদ্দিনের নেতৃত্বে গাজীপুরের টঙ্গীর বৌ-বাজার ও টঙ্গী রেললাইন বস্তি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা ডাকাতি করার কথা স্বীকার করেছে। বাকি লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক গিয়াসউদ্দিন জানায়, তথ্য প্রযুক্তি মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে বুধবার ভোরে গাজীপুর টঙ্গী রেলস্টশনের পাশে বৌ-বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করা একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রূপগঞ্জ থানার মামলা নং-০২, তারিখ-০১/০৪/২০১৯, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড এই ডাকাতি মামলাটির লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার হয় এবং উক্ত ডাকাতদেরকে উল্লেখিত মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে। গত ১ এপ্রিল রূপগঞ্জের ভোলাব এলাকায় নয়ন চন্দ্র দাস ও সাংবাদিক বাদল চন্দ্র দাসের বাড়িতে নৈশপ্রহরীকে বেধে রেখে ডাকাতি করে ডাকাতদল।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম ও পিপিএম(বার) নারায়ণগঞ্জকে আরো নিরাপদ শহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে রমজান ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জবাসী যেন নির্বিঘ্নে ও শান্তিতে চলাফেরা করতে পারে, এছাড়াও যানজট নিরসনের লক্ষ্যে সড়ক ও মহাসড়কে জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতে জেলা বিশেষ শাখা, নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক বিশেষ প্রোগ্রাম করা হয়েছে। সমস্ত নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল সড়ক ও মহাসড়কগুলোকে চারটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি সেক্টরকে ২ টি করে সব সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। ওই প্রোগ্রামে জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ সম্বন্বয় করে কাজ করছে।