যুবলীগ কর্মী নিহতের ঘটনায় মামলা, আসামী ১৭ জন

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিনিধি ) :  নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবলীগ কর্মী সুমন মিয়া নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক ওরফে আন্ডা রফিকসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিহত যুবলীগ কর্মী সুমন মিয়ার শাশুড়ি কাজল রেখা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে রূপগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। এছাড়া রফিকের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম, তারাবো পৌরসভা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আউয়াল, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম চৌধুরী অপু, আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন, তারাবো পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বায়োজিদ, নবী হোসেন, রনি, দুলাল ও হানিফসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে ওই মামলায়।

এজাহারে যা উল্লেখ করা হয়েছে, চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের নির্দেশে আসামিরা যুবলীগ কর্মী সুমন মিয়াকে মারধর ও এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করে।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফারুক হোসেন জানান, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। এজাহারভুক্ত এক আসামি বায়োজিতকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারী খালেদা জিয়ার রায় ঘোষনার দিন দুপুরে আওয়ামী লীগের এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী সমর্থক ও কায়েতপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক সমর্থক এর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও একই স্থানে অবস্থান নেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। দু’পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে উভয়পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ বিপুল পরিমান রাবার বুলেট, টিয়ারশেল, ও শটগানের গুলি ছোড়ে। এসসয় অর্ধশতাকি আহত ও গুলিবিদ্ধ হয় সুমনসহ ১৫ জন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমনের মৃত্যু ঘটে।

add-content

আরও খবর

পঠিত