নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বন্দরে মুসাপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাদির ডিলারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠতে শুরু করছে স্থানীয় এলাকাবাসী। আসন্ন মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী ঘোষণার পর হতে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিগত দিনের কর্মকান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি এলাকার সর্বস্তরের লোকজনের মাঝে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করছে। এ ব্যাপারে ঐ ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার হাজী মোঃ সিহাবউদ্দিন জানান, কাদির ডিলার একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, ভূমিদস্যু ও প্রতারক। সে এলাকায় নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার করে থাকে। মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও সে সর্বত্রই নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে বেড়ায়। সিহাব মেম্বার আরো উল্লেখ করেন, কাদির ডিলার সামান্য বাজার কমিটির নির্বাচনে জয়ী হতে পারেনা সে আবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
বিএনটির আমলেও সে গ্রাম সরকার কমিটির নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় বরণ করে। তিনি কাদির ডিলারকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন না দেয়ার জন্য দলেল নীতি নির্ধারকদের প্রতি জোরালো দাবি জানান। তার মতে, কাদির ডিলারকে আওয়ামীলীগের মতো একটি জনপ্রিয় দলের প্রার্থী হিসেবে দেয়া হলে এতে দলের বদনাম হবে। মালিবাগ কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান মাষ্টার বলেন, কাদির ডিলার একজন দখলবাজ। সে আমার পৈত্রিক সম্পত্তির দেয়াল নির্মাণ করে দখল করে নিয়েছে। তার সঙ্গে এলাকার কারো মিল নেই। তার অত্যাচারে নন্দীবাড়ী এলাকার সর্বস্তরের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তার কারণে এলাকাবাসী আলাদা মসজিদ নির্মাণ করতে বাধ্য হয়েছে। এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আব্দুল লতিফের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, কাদির ডিলার আওয়ামীলীগের একজন প্রবীণ নেতা। আমি তাকে ভালো করেই চিনি তবে আমি হলফ করে বলতে পারি সে মুক্তিযোদ্ধা নন। মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটে তার নাম আমরা পাইনি। এদিকে এলাকাবাসী কাদির ডিলারের অব্যাহত জিম্মি দশা হতে মুক্তি পেতে স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ.কে.এম সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ.কে.এম শামীম ওসমানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে।