নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : মুন্সিগঞ্জে র্যাবের বিশেষ অভিযানে সাওবান ফাইবার ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় অবৈধ কারেন্ট জাল মজুদ রাখায় দায়ে মো. আবুল কাশেম (৩০) মো. আলম (২০), মো. বেলাল (৩২), মো. শফিকুল ইসলাম (১৯) ও মো. আতাউর (৪৮) নামে ৫ জন ব্যাক্তিদেরকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩ই মার্চ বুধবার বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলার মুন্সিগঞ্জ সদর থানাধীন মুক্তারপুর পঞ্চসার এলাকার থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব-১১ দল।
এ সময় তাদের হেফাজত হতে ১ কোটি ২০ লক্ষ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত কারেন্ট জালের বাজার মূল্য প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু উক্ত অপরাধ আমলে নিয়ে মৎস রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ সনের ৪ এর (ক)(১) এবং ৫ এর (২)(খ) ধারায় দোষী সাব্যন্ত করে প্রত্যেককে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে অবৈধ কারেন্ট জাল নদীর পাড়ে উন্মুক্ত স্থানে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
আজ ৪ঠা মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ বার্তাকে র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী, পিপিএম এক সংবাদ প্রেরিত বাতায় জানান, দেশীয় উৎপাদিত কারেন্ট জাল কারখানা সিংহভাগ মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে অবস্থিত। কারেন্ট জাল উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধ হলেও বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে মুন্সিগঞ্জের শিল্পনগরী পঞ্চসার এলাকার বিভিন্ন ফ্যাক্টরীতে দিনরাত ব্যাপকভাবে তৈরী হচ্ছে কারেন্ট জাল। পঞ্চসার ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে কারেন্ট জাল উৎপাদন ও বিপণন করে আসছে বলে গোপন সূত্রে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়। এরই গোপন সূত্রে ধরে তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ একটি আভিযানিক দল গত ৩ই মার্চ তার মালিকানাধীন সাওবান ফাইবার ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতের নির্দেশে ১ কোটি ২০ লক্ষ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল উৎপাদন ও বিপণনে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে মুন্সিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।