মুছাপুরের জিহাদ মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ, থানায় জিডি

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদ দাতা ) :  বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের মুছাপুর নয়াগাঁও মসজিদের পাশ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা খোরশেদের ছেলে জিহাদ (১৪) মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হবার ৪ দিন পার হয়ে গেলেও তার খোঁজ না পেয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে ৩ই সেপ্টেম্বও বৃহস্পতিবার বন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। যার নম্বর ১১১।

উল্লেখিত জিডির প্রেক্ষিতে জানা যায়, জিহাদ মুছাপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দাসেরগাঁও এলাকায় অবস্থিত জামিয়াতুন নূর আলিয়া মাদ্রাসায় ৪ বছর ধরে লেখাপড়া করছে এবং মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৯ টায় মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয়। আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে তার খোঁজ নেয়া হলেও তার দেখা মিলেনি। জিহাদ উচ্চতায় ৪ ফুট ৯ ইঞ্চি, গায়ের রং-শ্যামলা, মুখমন্ডল-গোলাকার ও নিখোঁজের সময় সাদা রংয়ের জোব্বা পাঞ্জাবী পরিহিত ছিলো।

এদিকে জিহাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, জিহাদ নিখোঁজের ২ দিন পার হলেও মাদ্রাসার পক্ষ থেকে তার পরিবারকে নিখোঁজের বিষয়টি জানানো হয়নি। তার পিতা খোরশেদ বৃহস্পতিবার ছেলেকে দেখতে মাদ্রাসায় গেলে তিনি জানতে পারেন তার ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না। রহস্যজনক কারণে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন নিখোঁজের স্বজনরা। এদিকে ৪ঠা সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে মাদ্রাসায় একটি অভিভাবক সমাবেশ হলে সেখানে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হারুন অর রশিদ এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান স্বীকার করেন জিহাদের পরিবারকে তার নিখোঁজের খবরটি না জানিয়ে তারা ভুল করেছেন। কিন্তু একটি ছাত্রকে যখন পাওয়া যাচ্ছেনা তখন তাদের এধরণের দূর্বলতা, নিরব ভূমিকা ও তথ্য গোপন রাখায় অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের প্রতি কোন কার্যকর ভূমিকা পালন করছেনা বলে অভিযোগ করেন উপস্থিত অভিভাবকরা। এমনকি গত ২ বছর আগে একজন শিক্ষক অত্র মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে এবং সে শিক্ষার্থীটি মারা গেলে তার পরিবারকে নগদ অর্থ জরিমানা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়া হয় বলেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। কেউ যদি জিহাদের সন্ধান পায় তাহলে বন্দর থানায় বা জিহাদের পিতা খোরশেদের মোবাইল নম্বর (০১৮৭৪৬২০৬১৫) এ যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বন্দর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, নিখোঁজের বিষয়ে আমরা একটি সাধারণ ডায়েরী পেয়েছি। জিহাদকে খুঁজে বের করতে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত