নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এর মধ্যে আতাউল্লাহসহ ছয় জনকে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকালে নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
বিচারক তাদের ছয় জনের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান। তিনি বলেন, ‘তাদেরকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুদ্দিন কাদিরের আদালতে তোলা হয়। এর মধ্যে ছয় জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে পাঁচ দিন করে দুই মামলায় মোট ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।’
এর আগে ১৬ মার্চ মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলার নতুন বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরসা প্রধানসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এএইচএম সাজ্জাদ হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজ তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্বার জুনুনী (৪৮), মোস্তাক আহাম্মদ (৬৬), সলিমুল্লাহ (২৭), ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার চর আলগী এলাকার আতিকুল ইসলামের ছেলে মনিরুজ্জামান (২৪), আসমত উল্লাহ (৪০) ও মো. হাসান (৪৩), সলিমুল্লাহর স্ত্রী আসমাউল হোসনা (২৩) ও আরাকান রাজ্যের ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর, শাহিনা আক্তার (২২) ও ১৭ বছর বয়সী কিশোরী। তাদের মধ্যে মনিরুজ্জামান সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি পল্লী এলাকায় ভাড়া থাকতেন। আর সলিমুল্লাহ, শাহিনা ও ১৭ বছর বয়সী কিশোরী কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকতেন।
তাদের মধ্যে আতাউল্লাহ আবু আম্বার জুনুনী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির প্রধান বলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে। আতাউল্লাহ আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে খুনের নির্দেশদাতা ছিলেন বলে আদালতের জবানবন্দিতে জানিয়েছেন এই হত্যা মামলায় গ্রেফতার চার আসামি। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা (স্কোয়াড্রন লিডার) রিজওয়ান রুশদী হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি আরসার প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ।
আদালত পুলিশ জানায়, আরসা প্রধানসহ ছয় জনকে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার অপরাধে দুটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে হাজির করা হয়। বাকি তিন নারী সদস্য ও এক শিশুকে একই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।