নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (বিনোদন ডেস্ক) : মিডিয়া জগতে আবারো সমালোচনায় চলে আসলেন সু-পরিচিত মিউজিক কম্পোজার ও সংগীত শিল্পী আরেফিন রুমি। সমালোচিত আরেফিন রুমির প্রথম স্ত্রী লামিয়া ইসলাম অনন্যার সাথে সংসার বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। শেষ রেশ কেটে না উঠতেই লামিয়ার সাথে ডিভোর্স হওয়ার পর দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসার সাথে বিবাহ বন্ধনে জড়িয়ে পড়েন আরেফিন রুমি। কিন্তু শেষ র্পযন্ত সেই বিয়েটিও বেশি দিন স্থায়ী হলো না। জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী আরেফিন রুমি এবার দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসাকে ডিভোর্স দিলেন। ২০১২ সালে আমেরিকায় শো করতে গিয়ে কামরুন্নেসার সঙ্গে পরিচয় হয় রুমির।
গত ৩১ জানুয়ারী কামরুন্নেসাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন আরেফিন রুমি। ডিভোর্সের কারন সর্ম্পকে রুমি বলেন, গত তিন বছর ধরে মানসিক নির্যাতন সহ্য করছি। শুধুমাত্র ধৈর্য্য নিয়ে সব সহ্য করেছি, সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য। তাছাড়া সে আমার মা ও পরিবারের সবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতো। প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে আমাকে বিয়ে করেছিলো কামরুন্নেসা। কিন্তু এবার আমেরিকায় গিয়ে সে আবার তার সঙ্গে মেলামেশা করছে। এ ঘটনাটি কামরুন্নেসার বাবা পর্যন্ত জানেন। এ বিষয়টি আমি একদমই সহ্য করতে পারিনি। তাই তাকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য হলাম।
এদিকে গত ৯ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার রাতেই নিরাপত্তার অনুভব না করায় রুমির পক্ষ থেকে মোহাম্মদপুর থানায় একটি জিডিও করেছেন তার মা। আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্সের বিষয়টিও থানায় অবহিত করা হয়। রুমির মা বলেন, কামরুন্নেসা আমার গায়ে পর্যন্ত হাত তুলেছে। তাছাড়া প্রথম থেকেই তার চলাফেরা ছিলো বেপরোয়া। কিন্তু আমি সব সহ্য করেছিলাম রুমির সুখের কথা চিন্তা করে। কারন রুমির প্রথম স্ত্রী সময় একই ঘটনা ঘটেছে। এখন আবার ঘটলে সেটা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হতে পারে। কিন্তু মানসিক নির্যাতন কতদিন পর্যন্ত সহ্য করা যায়, সে কারনেই রুমি ডিভোর্স দিয়েছে।
এ দিকে গত ৯ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার রুমির আইনজীবী আব্দুর রহিম কামরুন্নেসার বাবাকে ফোন করে ডিভোর্স লেটার পাঠানোর বিষয়টি সরাসরি অবগত করেন। মাঝখানে বেশ কিছুদিন রুমির বিরুদ্ধে নানা গুঞ্জন চলছিলো, প্রথম-দ্বিতীয় পরেও রুমি প্রেমে পড়েছিলো তৃতীয় আরও একজনের। ঘটনার সত্যতা কতটুকু সেটা স্পষ্ট না হলেও ব্যাপারটা ভাইরাল হয়েছিলো সে সময়।
অনলাইন জুড়ে লাখো সমালোচনা আর ঘৃনা প্রকাশ করেছিলো খোদ রুমির গানের ভক্তরাই। এখন দেখার অপেক্ষায় সামনের দিনগুলোতে আর কি হতে যাচ্ছে!