নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : হেফাজত ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ঝর্ণা বেগমের করা ধর্ষণ মামলায় নারায়ণগঞ্জের আদালতে আরো দুই পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আজ দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি মশিয়ার রহমান এর আদালতে স্বাক্ষ্য দেন পুলিশ উপ-পরিদর্শক বোরহান ও কোবায়ের। এরআগে সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়। স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে ফের কাশিমপুর কারাগারে নেয়া হয়েছে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ জানান, আজ দুই পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ জনের স্বাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আরও ২৮ জনের স্বাক্ষ্য বাকী রয়েছে। পুলিশের কর্মকর্তারা স্বাক্ষিতে বলেছেন ডিউটি অফিসারের কথামত রয়েল রিসোর্টে যায়। ওইখানে মামুনুল হক বিয়ের প্রলোভনে র্ঝণাকে জোর পূর্বক ধর্ষণের করেছে তা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছিল।
অন্যদিকে এজাহারের সাথে সাক্ষিদ্বয়ের কোন মিল নেই বলে অভিযোগ তোলেন মামুনুল হকের আইনজীবী একেএম ওমর ফারুক নয়ন। তিনি বলেন কোন পুলিশ কর্মকর্তাই গ্রেপ্তার করেছি বলেনি। তারা বলেছেন গ্রেপ্তার করার মত কারণ ছিল না। আজকে দেশে সন্তান হয়ে যায়, বিবাহের কাবিন নামা খোঁজে না। কিন্তু আলেমদের উপর এতো জুলুম কেন? আমাদের জেরা করার সুযোগ দিলে ন্যায় বিচারে বেখসুর খালাস পাবে আল্লামা মামুনুল হক।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে নারীসহ স্থানীয়দের হাতে অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। সে সময় তিনি বিব্রতকর অবস্থায় পড়লে হেফাজতের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যান। তখন আওয়ামী লীগের কার্যালয়, স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বেপরোয়া ভাঙচুর চালান হেফাজতের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। হামলা ও ভাংচুর করা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২ শতাধিক যানবাহন। রয়েল রিসোর্ট কান্ডে ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। ১০ সেপ্টেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে জান্নাত আরাকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে জান্নাত আরার দায়ের করা ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।