নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন আর ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেটিই আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ ডিসেম্বর সোমবার আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা শুরু হয়। দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির ১৫ জন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ এ দেশটা জাতির পিতা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অনেক কষ্ট করেছে। আর ভবিষ্যতে তাদের কষ্ট করতে হবে না, সবাই যেন সুন্দর একটা জীবন পায়, উন্নত জীবন পায়, সমৃদ্ধশালী জীবন পায়- সেটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য, সেটাই করতে চাই।
দলকে আরও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের সম্মেলন হয়ে গেছে। আবার নতুন করে আমরা কমিটি করেছি। নিয়ম অনুযায়ী গঠনতন্ত্র মোতাবেক আমরা আমাদের সদস্যদের নির্বাচিত করবো।
শেখ হাসিনা বলেন, এই সংগঠনটাই আমাদের বড় শক্তি এটাও মাথায় রাখতে হবে। সংগঠন যদি শক্তিশালী থাকে আর মানুষের আস্থা-বিশ্বাস যদি অর্জন করতে পারে- তাহলে সরকার চালানো এবং দেশের উন্নয়ন করা কঠিন কাজ হয় না; এটা হলো বাস্তবতা। সে বাস্তবতা নিয়েই আমরা কাজ করে যাবো ইনশা-আল্লাহ্।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ, আমাদের যে লক্ষ্য ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ সেটা কীভাবে করবো, কী কী ক্ষেত্রে করবো তা আমি আগেও বলেছি। অর্থাৎ আমাদের পুরো জনগোষ্ঠী হবে স্মার্ট জনগোষ্ঠী, সেটাই আমরা করতে চাই।
সরকার প্রধান করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা তুলে ধরে বলেন, এসব ধাক্কা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে না এলে আজকের বাংলাদেশকে আমরা আরও অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারতাম। সভায় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা দলের কার্যনির্বাহী সদস্যদের মনোনয়ন দেওয়ার কথা রয়েছে।
সভায় আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির ১৫ জন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্ল্যাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম), অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সিমিন হোসেন রিমি উপস্থিত আছেন।