নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমার সামনে তো সবাই ভালো। কিন্তু অনেকেই হয়তো আমার নাম ভাঙ্গিয়ে মাদক ব্যবসা করে। তাদের বলছি, এখনও সময় আছে সাবধান হোন। সংশোধন হন। আমার জাতির পিতা, জাতির পিতার কন্যার কোন বদনাম হয় তাহলে মনে রাখবেন শামীম ওসমানের হাত আপনার ঘাড়ে। সাধারণ মানুষ মাদক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি থেকে বাঁচতে চায়। তাই নারায়ণগঞ্জে এসবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম। শনিবার (২ মার্চ ) বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরীর ২নং রেলগেইট এলাকার মিডটাউন শপিং কমপ্লেক্সের সামনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ না। স্বাধীনতার স্বপক্ষের সকল শক্তিকে নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। আঠার ঘণ্টা কাজ করেছি কিন্তু কারো কাছে হাত পাতি নাই। অন্যায় করি নাই। এই হাত দিয়ে অনেকের লাশ দাফন করেছিলাম। আমরা লাশ দাফন করার আগে যে একটু সম্মান জানাবো সে সুযোগটুকু পাই নাই। বিএনপির লোকজন আইসা সেই লাশের উপরও গুলি করলো। লাশের শরীর থেকে ৭৫টি গুলি বের করতে হয়েছিলো সেদিন। কেন রে ভাই? যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলোম বলে?
শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে গোলাম আযমকে নিষিদ্ধ করলাম। ঢুকতে পারে নাই। মুন্সিগঞ্জ ঢুকতে চেয়েছিলো, সেখানেও ঢুকতে দিই নাই। নরসিংদীতে ঢুকতে চাইছিলো, ওইখানকার মেয়রকে ফোন দিলাম। ঢুকতে পারে নাই। ঢাকা থেকে আমাকে জানানো হইলো, আমার উপর হামলা হবে। হামলা হলো। বোমা হামলা করা হলো। আরডিএস বোমা মারা হলো সেদিন আমার সভায়। সেদিন আমি স্ট্রেচারে শুয়েও সাংবাদিকদের বলেছিলাম, শেখ হাসিনাকে বাঁচান। খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আমরা নাকি শেখ হাসিনার নিরাপত্তা আইন পাস করার জন্য ওই নাটক করেছিলাম। কিন্তু না। আমার কথাই ঠিক হয়েছিলো, আর সেটি প্রমাণ করে ২১ আগস্টেও গ্রেনেড হামলা।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলার সেক্রেটারী আবু হাসনাত শহীদ বাদল, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী প্রফেসর শিরিন বেগম, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি চন্দন শীল, সহ সভাপতি ওয়াজেদ আলী খোকন, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহসিন মিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সেক্রেটারী শওকত আলী, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান স্মৃতি, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, সেক্রেটারী মিজানুর রহমান সুজন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, সেক্রেটারী আশরাফুল আলম রাফেল প্রধান, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু প্রমুখ।