মাছে কী মেশানো হচ্ছে!

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) :  নারাণগঞ্জ ৫ নং ঘাট। জেলার সববৃহৎ মাছের আড়ৎ হিসেবে অন্যতম এটি।  সারাদেশ থেকে নদী ও চাষের পঙ্গাস, রুই, কাতলা ও ইলিশ সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এখানে আমদানি ও রফতানি সহ খুচরা বিক্রয় করা হয়ে থাকে। আর সে মাছ কতটা তাজা না মরে পঁচে গেছে তার খেয়াল করার সময় নয় আমাদের অনেকেরই। যেকারণে ব্যবাসায়ীরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাছে মিশাচ্ছে রঙ ও ফরমালীন। আর তা বিক্রি করে আয় করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষাধিক টাকা।

২৬ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে এ আড়তে এক ব্যবসায়ীর এমনই এক স্থিরচিত্র ফুটে উঠে যা ভাবার মত। এসময় দেখা গেছে একজন মাছ বিক্রেতার কর্মচারী  ড্রাম ও বরফের কাঠের বক্সের ঠেলা গাড়ির  উপর ঢালা রেখে নিজেকে আঁড়াল করে মাছে রং মিশাচ্ছে। আর পাশে থাকা ঝুঁড়ি থেকে পাঙ্গাস মাছ নিয়ে তাতে পানি দিয়ে ধুয়ে আবার বরফের সঙ্গে অন্য ঝুড়িতে রাখছেন। তবে এ পানির সঙ্গে মেশানো হচ্ছিলো সবুজ রঙ। এসব দেখে আড়াল থেকে মোবাইলে ছবি তুলতেই রেগে যান কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী। ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবাদ করেন কেন এ ছবিটি তুলা হলো!

তারপর বাধা দেয়ার কি কারণ জানাতে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওসমান গনি জুয়েল জনপ্রিয় গ্রুপ নারায়ণগঞ্জিস্থান গ্রুপের সদস্য বলেন, মানুষ নামের পশুগুলো দেখতে অবিকল মানুষের মতো। আজ দুপুর ১২ টার দিকে ৫ নং ঘাটে মরা ও পঁচা মাছ কে প্রথমে রং লাগায় তারপরে ফরমালিন এর পানিতে ভিজিয়ে তরতাজা করার সচিত্র দৃশ্য দেখা মাত্রই আড়াল থেকে ক্যামেরা বন্দি করার সময় মাছ ঘাটের স্থানীয় লোকজন ফুসে উঠে। অনেকটাই কষ্ট করে এদের মাঝ থেকে কৌশলে বের হয়ে আসলাম। এটাকেই বলে চুরি তো চুরি আবার সিনা জুরি যেখানে প্রশাসন নিশ্চুপ সেখানে আমরা সাধারণ মানুষ অসহায়। প্রতিনিয়ত আমরা ভেজাল খাচ্ছি। অবিলম্বে এইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোরতর ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এদিকে ভেজাল খাদ্য দ্রব্য ও যানজট নিয়ে বিভিন্ন সময়ই নগরীতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে তবে শহরে ৫ নং ঘাটে তেমন অভিযান না থাকায় অসাধুব্যাবসায়ীরা এধরণের অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়েছে বলে ভুক্তভোগী ও নগরবাসী মনে করেন। আর এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। তাই সচেতন মানুষের দাবী অবিলম্বে এখানে প্রশাসনের অভিযান পরিচালনা করা হউক।

add-content

আরও খবর

পঠিত