নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : মরেও শান্তি নেই। মরহুমা ওম্মতি বেগমের লাশ ওয়াকফা সম্পত্তিতে দাফন নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। অনেক বাধার পরেও মরহুমাকে জোর পূবর্ক মাজারের পাশে দাফন করা হয়। ১০ ফেব্রুয়ারী বুধবার বিকেলে বন্দরের কুশিয়ারায় এ ঘটনা ঘটে।
বন্দরের কুশিয়ারায় শাহ মোকরব আলী (র) এর দরবারের ৩৩ শতক সম্পত্তি ওয়াকফাকৃত। মরহুম মোকরব আলী শাহ (র) জীবদশায় ১৫ শতক জমি নিজে মসজিদ-মাদ্রাসা করার জন্য ওয়াকফ্ করেন। তিনি মৃত্যু বরণ করার পর তার ছেলে জলিল, মমিন আলী, রবিউল আউয়াল ও মেয়ে মিলে ২ দফায় আরও ১৮ শতক জমি ওয়াকফ্ করে দেন। দলিল নং ৩৬৪৪ ও ২৬৯২। মরহুম মোকরব আলী শাহ (র) এর ও তার স্ত্রীর মাজার রয়েছে এ ওয়াকফ্ সম্পত্তিতে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় মকরব আলী শাহ (র) এর ছেলে জলিল ফকিরের স্ত্রী ওম্মতি বেগম মারা যান। তার লাশ দাফনের জন্য মাজারের পাশে কবর খোড়া হয়। এতে বাধসাদের বাকি ৩ ছেলে ও মেয়ে। এ নিয়ে দেখা দেয় উত্তেজনা। মাজারের তোওয়াল্লী শফিউদ্দিন জানান, ওয়াকফ্কৃত সম্পত্তিতে অন্য কারো কবর দেয়া যায়না। তাতে দরবারের সুন্দর্য্য নষ্ট হয়। এ ছাড়া ওয়াকফ্কৃত সম্পত্তিতে আরও যারা ওয়ারিশ রয়েছে যারা ওয়াকফ্ করে দিয়েছেন তাদের আপত্তি রয়েছে। এখানে তারা কবর দিয়ে পরে মাজার ব্যবসা করার পায়তারা করছে। তা সঠিক নয়। তিনি এ ব্যপারে মামলা করবে বলে জানান। এ ব্যপারে মরহুমা ওম্মতি বেগমের ছেলে মনির হোসেন বলেন, তার মা মাজারের খেদমত করতেন। তার দাদি ও মা জীবদ্বশায় তার মাকে মাজারের পাশে কবর দেয়ার জন্য ওসিয়ত করে গেছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বাধা উপেক্ষা করে তারা মাজারের পাশে জোর পূর্বক কবর দেয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।