নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিনিধি ) : মরণ নেশা হেরোয়িনের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়া রেলস্টশনের সাথে গড়ে উঠা বসতি এলাকা। দিন কিংবা রাত অবাধেই মাদক বিক্রি ও সেবন এখানে যেন সাধারণ ব্যাপার। অথচ কিছু দূরেই পুলিশ সুপারের কার্যালয় হলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সেইসব মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীরা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের রমরমা মাদক ব্যবসা ।
শুধু তাই নয়, রাত হলেই এখানে পেথেডিন ও গাজাসেবীদের মিলন মোলায় রূপ নেয়। বিশেষ করে বিপথগামী অনেক শিল্পপতির দুলাল ও কিছু ছিন্নমূল শিশু সহ টোকাই, ছিনতাইকারীরাও অসৎভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে কিনে নেয় মরণ নেশা হেরোয়িন।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে কমলাপুর যাতায়াতে ট্রেন এর সুবিধা থাকায়, মাদক বিক্রেতা ও সেবীরা এখান থেকেই প্রতিনিয়ত মাদক নিয়ে আবারো বিভিন্ন স্পটে নিরাপদে চলে যায়। এছাড়াও মাদকসেবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দিনের বেলায় এখানে টিনের ঘরগুলোর মধ্যেই হেরোয়িন ও গাজা সেবনের জন্য জমজমাট আড্ডার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া শহরের ইসদাইর এলাকাসহ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের গা ঘেঁষা এই স্থানটিতে একত্রিত হয় বিভিন্ন সিন্ডিকেটে বিভক্ত অপরাধ জগতের সদস্যরা। যাদের মধ্যে রয়েছে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য, রিকশা চোরের সদস্য, মোবাইল ছিনতাইয়ের সদস্য, চলন্ত গাড়ি থেকে নামিয়ে ফেলা সবজি, চাউলের বস্তা, মুরগী সহ বিভিন্ন পণ্য চোরাই কারবারির সক্রিয় সদস্য।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, এখানকার চিহ্নিত মাদক কারবারী মিলন, মিজান ও তার স্ত্রী সোনি এখানে বসবাসের আড়ালে এই ব্যবসা পরিচালনা করছে। তাদের সেলসম্যান হিসেবে কাজ করে থাকে অন্যতম ছিনতাইকারী সদস্য মন্টু, আলী, হরমুজ মুন্সির ছেলে ছিনতাইারী রাজু, ছিনতাইকারি সইয়ার ছেলে আলী, কালু ও স্থানীয় বাধ্যযন্ত্র শ্রমিক ঢোলওলার মাইয়ার জামাই নামে পরিচিত অমিত আর নারী সহযোগী হিসেবে নানা কৌশলে মাদক পৌছে দেয় পারভিন ও বানু।
এরআগে মাদক সহ বিভিন্ন অপরাধে পুলিশের হাতে এদের অনেকেই গ্রেফতার হলেও ছোট কোন অভিযোগে চালান হওয়ায় ফিরে এসে মাদকের রাজত্ব বহাল রাখায় ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ। তবে এখানকার আশেপাশের বাসিন্দা ও অনেক ছোট ছোট চায়ের দোকানীরা এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানলেও মুখ খুলতে ও নিজের নাম প্রকাশে ভীত প্রকাশ করে।
এসব বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানায়, আমাদের নিয়মিত টহল সেখানে থাকে। আমি নিজেও মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করি। তবে রেলস্টেশনের ভিতরের দিকে যদি এ ধরণের মাদকের কারবারি হয়ে থাকে। অবশ্যই আমাদের পুলিশ অভিযান পরিচালনা করবে।