নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : মদনপুর মহাসড়কে অবৈধভাবে ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা চালানোর প্রতিবাদ করায় পুলিশের সঙ্গে চালকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এতে পুলিশ সদস্য ও একজন চালক আহত হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরের ওই ঘটনার পর পৌনে ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত মহাসড়কের কাঁচপুর হতে মোগরাপাড়া ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড-লাউসার গ্রামের চলাচলরত রাসেদ অটো নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপরের দিকে দিকে ইস্ট টাউনের গেটের সামনে পৌছান। এসময় কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ঘটে। এসময় উপস্থিত লোকজন ও অন্যান্য অটোচালকরা দুই পুলিশ সদস্যের উপর চওড়া হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আর্মড পুলিশের দুই সদস্য দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আহত অটোচালক রাসেদকে উদ্ধার করে মদনপুর দি বারাকা হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাইওয়ে পুলিশের পিটুনিতে চালক রাসেদের অবস্থা আশঙ্কজন বলে ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার প্রতিবাদে দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে মদনপুর-প্রভাকরদী-নয়াপুর-নবীগঞ্জ ও বন্দর সড়কের চলাচলরত অটোবাইক ও অটো রিকশা বন্ধ করে কয়েকশত চালক মদনপুর বাস ষ্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তা টায়ার জ্বালিয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
খবর পেয়ে বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত চালকদের বুঝিয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী যানচলাচল বন্ধ থাকলেও বিকাল ৪ টার দিকে পুনরায় যান চলাচল সাভাবিক হয়।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাউয়ুম আলী সরকার জানান, মহাসড়কের উপর দিয়ে অটোবাইক, অটো রিক্সা চলাচল নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ যানবাহন আটক করতে যায় টহল ডিউটিরত আর্মড পুলিশের সদস্য মেহেদী। এসময় পুলিশের উপরে তুলে দেয় অটোরিক্সা। এতে পুলিশ সদস্য মেহেদী গুরুতর আহত হন। এ ঘটনা ঘটানোর পর অটোচালককে মারধর করা হয়েছে। বর্তমানে ওই আহত পুলিশ সদস্যকে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।