নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরে নাসিক ১৯নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ শান্তিনগর এলাকায় সরকারী খাস জমির উপর ওয়াকফ বিহীন জায়গায় মসজিদ নির্মানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। প্রসঙ্গতঃ ওয়াকফবিহীন সম্পত্তির উপর মসজিদ নির্মাণ ধর্মীয় নীতি বর্হিঃভূত হলেও জনৈক মোঃ আক্তার হোসেন গং এসবের তোয়াক্কা না করে জনৈক কাউন্সিলর প্রার্থী মোখলেছুর রহমান চৌধূরীর নির্দেশে মদনগঞ্জ শান্তিনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরিত পাশের সরকারী খাস জমির ১০শতাংশের মধ্যে মসজিদ নির্মানে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি মোঃ ফারুক মিয়া জানান,এ জমি মোকলেছ চৌধুরীর লীজপ্রাপ্ত জমি,বিদ্যালয়ের জমিও তার পিতা আবেদ চৌধুরী বিদ্যালয়ের জন্য বন্দোবস্ত করেছিলেন। ফলে এই এলাকায় অনেক ছেলে-মেয়ে লেখা পড়ায় সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পেরেছে। এই এলাকায় একটা মসজিদ আছে যা খানিকটা দূরে। সরকারী জমির মধ্যে ১০শতাংশ জমি মসজিদ করা যেতে পারে কিন্তু ওয়াকফ করে নিয়ে বন্দোবস্তু নিয়ে করা হলে তা নিয়মতান্ত্রিক হবে। আক্তার হোসেন মোকলেছ চৌধুরীর একজন সমর্থক। ওয়াকফ বিহীন মসজিদের পরিকল্পনা করাটা সম্পূর্ণ অবৈধ পন্থা। এ ব্যাপারে মোকলেছ চৌধুরীর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান,এই সম্পত্তি আমার পিতার মরহুম আবেদ চৌধুরী নামে লীজ বন্দোবস্ত নেয়া। এখানে আমাদের সম্মত্তি নিয়েই এলাকার মুসল্লিরা মসজিদ করবেন। কেননা এখানে একটা মসজিদ আছে যা অনেক দূরে অবস্থিত। আরেকটা মসজিদ হলে মুসল্লিদের কষ্ট লাঘব হবে। আর আমি সামনে কাউন্সিলর নির্বাচন করব,নিয়মের বাইরে কিছু করা যাবেনা। ওয়াকফ্ করেই মসজিদ নির্মান করা হবে। এর মধ্যে যদি কেউ আমাদের নাম বিক্রি করে কোন অবৈধ পন্থা অবলম্বন করতে চায় তাহলে আপনারা আইনের হাতে তুলে দেন আমার কোন আপত্তি নাই।