ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ৭ ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে, তদন্ত কমিটি গঠন

নারায়ণগঞ্জ বার্তা২৪  ( স্টাফ রিপোর্টার ) ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের অক্লান্তু পরিশ্রমে অবশেষে ৭ ঘন্টা পর ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে । শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের (ডিসি) বাসভবনের বিপরীত দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর গুডাউনে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে । এ খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৩টায় নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ফোম কামান দিয়ে ফোমও ছিটানো হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় ওই আগুন লাগার পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৫টি ইউনিট।

এর আগে পু‌লিশ, আনসার ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যপক চেষ্টা চা‌লায়। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ-মন্ত্রনালয় থেকে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুটি কমিটিকেই আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নৌ-মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: শাহাদাৎ হোসেনকে আহবায়ক করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হকের নির্দেশ বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (নিরীক্ষা) মো. সিদ্দিকুর রহমানকে প্রধান করে ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিতে রয়েছেন বন্দর ও পরিচালক বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন, নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার বেইজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ, প্রকৌশল (পুর) বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান, ক্রয় ও সংরক্ষণ বিভাগের উপ পরিচালক বজলুর রহমানসহ মোট ৭ জন।

বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপ পরিচালক শহীদুল্লাহ জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে এসেছে। তবে আগুনে গুদামের বাইরে থাকা প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরী পাইপ পুড়লেও ৪নং গুদামে বিআইডব্লিউটিএর বিভিন্ন  জাহাজের হাইড্রোলিক সামগ্রী ও ৫ নং গুদামে কাস্টমসের মাধ্যমে আমদানীকৃত টায়ারে আগুন ধরেনি।

ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা হেডকোয়ার্টারের প্লানিং ডেভেলপমেন্ট এন্ড ট্রেনিংয়ের অতিরিক্ত পরিচালক লে. কর্নেল জুলফিকার বলেন, এখানে যেসব জিনিসপত্র রাখা হয়েছে সবকিছুই অপরিকল্পিতভাবে রাখা হয়েছে। এখানে সবকিছুই রাবার জাতীয় পদার্থ তাই আগুনের ভয়াবহতা এতোই দ্রুত হয়েছে যে এটাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের সর্বমোট ১৫টি ইউনিট কাজ করেছে। আমরা প্রথমে পানি দিয়ে চেষ্টা চালিয়েছি পরে ফোম কামান মেরেছি। পরবর্তীতে পাশের নদী থেকে ১০টি পাম্প লাগিয়ে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। সময় লেগেছে কিন্তু আরো বড় ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। কী ভাবে আগুন লেগেছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। এটা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যেতে পারে।

বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপ পরিচালক শহীদুল্লাহ জানান, আগুনে গুদামের বাইরে থাকা প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরী পাইপ পুড়লেও ৪নং গুদামে বিআইডব্লিউটিএর বিভিন্ন  জাহাজের হাইড্রোলিক সামগ্রী ও ৫ নং গুদামে কাস্টমসের মাধ্যমে আমদানীকৃত টায়ারে আগুন ধরেনি।

add-content

আরও খবর

পঠিত