নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : মাদক নিয়ন্ত্রনে অফির্সাস ইনচার্জ যেখানে জিহাদ ঘোষনা করেছেন, সেখানে ২/৩ জন এস আই ব্যবসায়ীদের পরোক্ষ্যভাবে উৎসাহিত করছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রন না করে উল্টো আরেকটি অপরাধের জন্ম দিচ্ছে। পুলিশ সুপার ড.মহিদ উদ্দিন বিদায় নেয়ার ২ দিন না যেতেই টাকার নেশায় মরিয়া হয়ে উঠেছে পুলিশের সহকারি পরিদর্শক এমদাদুল হক। ১ লা আগস্ট সোমবার বিকালে বন্দরের মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কের সমর ক্ষেত্র ৭১’র সংলগ্ন হালিম মিয়ার হোন্ডা গ্যারেজে এমন ঘটনার জন্ম দিল এমদাদুল হক। যা নিয়ে উপস্থিত জনতাসহ এলাকাবাসী শংকিত হয়ে পরেছে। আবার অনেকে বলছে পুলিশ সুপার বিদায় নেয়ার অপেক্ষায় ছিল অর্থলোভী দারোগারা। ওসির জিহাদ ঘোষনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে দারোগারা। পুলিশের সুনাম রক্ষার্থে বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বন্দর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আবুল কালামের জরুরী হস্তক্ষেপ চেয়েছে নাগরিক সমাজ।
সূত্র মতে, বন্দরের মদনগঞ্জ এলাকার সালাউদ্দিন আহম্মেদ সোমবার বিকাল ৪ টার দিকে হোন্ডা নিয়ে হালিম মিয়ার গ্যারেজে যায়। এ সময় বন্দর থানার এস আই এমদাদুল হকসহ ২ জন পুলিশ সিভিল পোশাকে গ্যারেজে যায়। এফ জেট নামীয় হোন্ডা গাড়ী নিয়ে সিভিলে গ্যারেজে গিয়েই সালাউদ্দিনের সাথে তর্কে লিপ্ত হয়। পোশাক ছাড়া হওয়ায় তারা যে পুলিশের লোক তাও বুঝার উপায় ছিল না বলে সালাউদ্দিন জানান। এক পর্যায়ে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো সহ নানা প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরিহিত এস আই এমদাদুল হক। সালাউদ্দিনের হোন্ডা গ্যারেজে রেখে বাগবাড়িস্থ শ্বশুর বাড়ি থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এস আই এমদাদুল হক। সালাউদ্দিনের স্ত্রী ও শ্বাশুরীর স্বণের্র জিনিস বন্ধক ও ঘরের আসবাবপত্র বিক্রি পূর্বক ও সুদে টাকা নিয়ে দারোগা এমদাদুল হকের চাহিদা পূরণ করেন। দিনে-দুপুরে প্রকাশ্য হোন্ডা গ্যারেজে পুলিশের এই অর্থ বানিজ্যকে ভাল দৃষ্টিতে দেখছে না বন্দরের সচেতন মহল। গ্যারেজে অর্থ বানিজ্যের সময় লোকজন জমায়াত হতে থাকলে তাদের সরিয়ে দেয় দারোগা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশের দোকানদার ও পথচারীরা জানান, পুলিশের এমন আচারন অনেকদিন পর দেখলাম। বর্তমান সরকার পুলিশ প্রশাসনকে যে সুযোগ- সুবিধা দিয়েছে তারপরও এমন অমানবিক কান্ড ? একজন লোক অপরাধী হলে আইনে তার বিচার হবে। বিচার না করে ফিল্মি কায়দায় বাড়ি থেকে টাকা আনিয়ে তাকে রেখে যায়। অর্থাৎ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ না করে আরেকটি অপরাধের জন্ম দিলেন বন্দর থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক এমদাদুল হক। আদিম যুগের ববর্রতাকেও হার মানিয়েছে।
এ বিষয়ে এস আই এমদাদুল হককে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। সালাউদ্দিন আহম্মেদ জানান, গ্যারেজে আমি হোন্ডার হর্ণ লাগাতে যাই। এ সময় সাদা পোশাকে এফজেট হোন্ডা নিয়ে ২ জন লোক আসে। পরিচয় হয় তারা থানার। কোন অপরাধে আপনার কাছে টাকা দাবী করে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মাদক ব্যবসা করতাম। সেই পথ ছেড়ে ভালো পথে আসার চেষ্টা করছি। আর সেই সময় স্ত্রী ও শ্বাশুড়ীর স্বণের্র জিনিস এবং ঘরের আসবাবপত্র বিক্রিসহ সুদে টাকা নিয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। আমার সাথে দারোগা এমদাদুল হকের কোন পার্থক্য দেখিনা। বন্দর থানার ( তদন্ত) হারুন – অর- রশিদ জানান, বিষয়টি দেখছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
এদিকে থানা পুলিশের এমন অনৈতিক কর্মকান্ডে সর্বত্র চলছে নানা সমালোচনা। দিনে দুপুরে প্রকাশ্য সিভিল অবস্থায় অর্থ বানিজ্য পুলিশের মান ক্ষুন্ন করেছে অপরদিকে অপরাধীকে পরোক্ষ্যভাবে উৎসাহিত করেছে। সাদা পোশাকে অভিযান সরকার নিষিদ্ধ করলেও এমদাদুল হকের অভিযান ছিল সাদা পোশাকে। সরকারী নিয়মকে বৃদ্ধা আংগুল দেখিয়ে এমদাদুল হকের অর্থ বানিজ্যকে অন্য দৃষ্টিতে দেখছে বন্দরবাসী। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ) বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। দেখছি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
police are insult our government… they r not maintain rule