নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : সিরাজুল ইসলাম সেরুল্লা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী গত ২৮ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অন্তর্গত জালকুড়িস্থ রপ্তানীমুখী ভিবজিউর নীট কম্পোজিট লিমিটেড-এ সন্ত্রাসী হামলা ও ভাংচুর করে। এই ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ভিবজিউর নীট কম্পোজিটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ করে ভিবজিউর নীট কম্পোজিটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসময় তারা প্রায় দুই ঘন্টা প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করে সিরাজুল ইসলাম সেরুল্লা ও তার বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানায়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্যে ভিবজিউর নীট কম্পোজিটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে সিরাজুল ইসলাম শেরুল্লা ও তার সহযোগীগণ। কিন্তু তা নিতে না পারায় সেই ক্ষোভে আমাদের বিরুদ্ধে গ্যাস চুরি অপবাদ দিয়ে ও নানা প্রপাগন্ডা ও অপপ্রচার চালিয়ে এলাকার লোকদেরকে ক্ষেপিয়ে তুলে। কিন্তু তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ সরজমিনে তদন্ত করে লাইনে গ্যাসের চাপ না থাকার কারণে আবাসিক গ্রাহক সহ আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠানেও গ্যাস আসে না মর্মে প্রতিবেদন প্রদান করেন। তারপরও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে সিরাজুল ইসলাম সেরুল্লা ও তার বাহিনী প্রতিষ্ঠানটিতে হামলা চালায়। বিগত বছরেও একাধিকবার আমাদের কোম্পানীতে সিরাজুল ইসলাম সেরুল্লার বাহিনী হামলা ও ভাংচুর লুটপাট করে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন করে, যা প্রশাসন অবগত আছে।
এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারনে রপ্তানিমুখী পন্য রপ্তানি করতে না পারায় আজ প্রতিষ্ঠানটির সহাশ্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-বোনাস হুমকির মুখে। স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দানকরীর নেতৃত্বে এধরনের অন্যায়, বেআইনী ও অনৈতিক কার্যকলাপ জাতি কোন ভাবেই প্রতাশ্যা করে না। সিরাজুল ইসলাম সেরুল্লা ও তার সহযোগীদের বারবার সন্ত্রাসী কায়দায় নগ্ন হামলার কারনে আজ আমাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীর জীবন-জীবিকা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। তাই সিরাজুল ইসলাম সেরুল্লা ও তার বাহিনীকে আইনের আওতায় এনে সহাস্ত্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর জীবিকা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনকে আবেদন জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন জালকুড়ি উত্তরপাড়া এলাকায় গ্যাস সঙ্কটের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী ভিবজিউর নীট কম্পোজিটের কারখানায় হামলা ও ভাংচুর করে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করে। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার সকালে কারখানার ব্যবস্থাপক খালেদ হোসেন বাদি হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০/৮০ জনকে আসামী করে মামলাটি করেন।