নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় ফতুল্লা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রুস্তম খন্দকারকে আটক করা হয়েছে। তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আদিল হত্যা মামলার আসামি। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে তাকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
রুস্তম খন্দকার ফতুল্লা থানার লালপুরের তারা খন্দকারের ছেলে। বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক মজুমদার বলেন, আটক রুস্তম খন্দকার নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থানার একটি হত্যা মামলার আসামি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যার অভিযোগে গত ২৯ আগস্ট মামলা হয়। ওই মামলার আসামি তিনিসহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক এমপি একেএম শামীম ওসমান।
জানা যায়, ভারতে যাওয়ার জন্য আজ সকালে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভবনে প্রবেশ করেন রুস্তম খন্দকার। এ সময় তাঁর চলাফেরা দেখে ইমিগ্রেশনে কর্মরত পুলিশের সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা জানতে পারেন, রুস্তম খন্দকার ফতুল্লা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং তিনি ফতুল্লা থানায় দায়েরকৃত আদিল হত্যা মামলার আসামি। এ সময় তাঁকে আটক করে বেনাপোল বন্দর পোর্ট পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
ওসি ওমর ফারুক মজুমদার বলেন, ইমিগ্রেশনে রুস্তম খন্দকারকে দেখে হাইপ্রোফাইল (গুরুত্বপূর্ণ) ব্যক্তি বলে মনে হলে গুগলে তার নাম-ঠিকানা লিখে খুঁজে দেখেন। তখন তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় জানতে পারি। পরে ফতুল্লা থানায় যোগাযোগ করে জানা যায়, ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা কিশোর আদিল হত্যা মামলার আসামি তিনি। তখন তাকে আটক করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাঁকে ফতুল্লা থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে।