নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ফতুল্লার তল্লায় দুই ইন্টারনেট ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে চিহিৃত সন্ত্রাসী শুভ ও মামুন। আহত ব্যবসায়ীদের অভিযোগের পরে ১২ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে পুলিশ তল্লায় দুই সন্ত্রাসীকে গেফতার করতে অভিযান চালালেও সফল হয়নি। কিন্তু পরদিন ১৩ এপ্রিল বুধবার দুপুরেই আবার সন্ত্রাসীদ্বয় এলাকায় মহড়া দিয়ে বেড়াচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
গত সোমবার রাতে ঐ এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী শুভ ও মামুন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ব্যবসায়ী ফয়সাল আহমেদ ও ইভানকে গুরুতর আহত করে। আহতদের মধ্যে ফয়সালের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঐ দিন তাদের নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ঢাকায় পাঠানো হয়। আহত ফয়সালের বড় ভাই ফেরদৌস ফতুল্লা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইন্টারনেট ব্যবসার জের ধরে ফতুল্লা তল্লা এলাকার রমিজউদ্দিনের পুত্র ফয়সাল আহমেদ (২৮) ও মিরাজ চৌধুরীর পুত্র ইভানকে (২৭) প্রায়ই ব্যবসা বন্ধ করে দেবার হুমকি দিত একই এলাকার মৃত ছমিরউদ্দিনের দুই পুত্র সাইদুর রহমান শুভ (২৮) ও মাহবুব হোসেন মামুন (৩৩)। এমনকি রাতের আধাঁরে ঐ এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও গ্রাহকদের দেয়া সংযোগ তারও কেটে দিত তারা। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার মধ্যরাতে একটি সংযোগ তার কেটে দেবার সময় সন্ত্রাসী শুভকে হাতেনাতে ধরে ফেলে ফয়সাল ও ইভান। তার কাটার প্রতিবাদ করায় তাদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায় শুভ, মামুন ও তাদের কয়েকজন সহযোগী। সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদের মাথা, হাত ও শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম করে। আহতদের আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে স্থানীয়রা জানায়, দুই সন্ত্রাসী শুভ ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। তারা এলাকায় চাদাঁবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে স্থানীয়দের অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তাদের এসব কাজের প্রতিবাদ করতে গেলে হামলা ও হয়ারনির শিকার হতে হয়। থানায় তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও রয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা থানার এস.আই মজিবুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে আসামীদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। ঐ সময় তারা বাড়িতে ছিল না।