নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সৈয়দ সিফাত লিংকন ) : দিনে মেঘলুপ্ত সূর্যের খরতাপ আর রাতে কুয়াশার সাথে বইছে হিমেল হাওয়া। ঋতু বৈচিত্রের এই খেলা উপভোগ করছে শহর কিংবা গ্রামের প্রতিটি মানুষ। সপ্তাহ দুয়েক ধরে জেলায় হালকা শীত ও কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। ভোর বেলায় কুয়াশায় ঢেকে যায় সবুজ মাঠ। ঋতু পরিক্রমায় পৌষ-মাঘে শীত বাড়ার সাথে সাথে কদর বেড়ে যায় লেপ-তোষকের কারিগরদের। তুলা ছাঁটাই ও লেপ তৈরির কাজে কর্মচাঞ্চল্য বেড়েছে ধুনারীদের (লেপ-তোষক তৈরির কারিগর)।
শহরের কালির বাজার এলাকায় লেপ-তোষক তৈরি করার কিছু দোকানে ঘুরে দেখা যায়, বিরামহীনভাবে কাজ করছেন লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা । কেউ পুরনো লেপ ভেঙে নতুন করে বানিয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউবা নতুন তুলা দিয়ে তৈরি করে নিচ্ছে লেপ, তোষক ও বালিশ। এছাড়াও জানা যায় ভিন্ন তথ্য, অনেকেই আবার মেয়ে-জামাইয়ের বাড়িতে বালিশ, লেপ, তোষক দেওয়াটাও একটি ঐতিহ্য রয়েছে বলে ভিড় জমিয়েছে এসব দোকানে। তাই এখন তাদের দম ফেলারও সময় নেই ।
কালির বাজার পোস্ট অফিসের সামনে লেপ তোষকের কারিগর রিপন মিয়া জানান, শীত আসছে এমনটি টের পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের কদর বেড়ে যায়। কর্মব্যস্ততায় সকালের নাস্তা আর দুপুরের খবার বেশিরভাগ সময়ই একসাথেই খেতে হয়। সারাবছরে টুকটাক কাজ করে কোনমতে সংসার চালানোও অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। বছরে প্রায় ৬ মাস সড়কের ধারে এই দোকানীর পাশেই জুতো কিংবা অন্যান্য কাজের মাধ্যমে জীবীকা র্নিবাহ করেন তিনি। কিন্তু সিজন এলে তাদের কাছ থেকে প্রতিদিন ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫শত টাকায় আবার কেউ কেউ ১হাজার থেকে ১ হাজার ৫ শত টাকা হিসেবে লেপ, তোষক তৈরি করে থাকেন ।
ফতুল্লা মুসলিম নগর এতিম খানা সংলগ্ন লেপ-তোষকের দোকান মালিক আমির জানান, শীত এখনো ঝেঁকে না বসলেও অনেকে আগেভাগেই লেপ ও তোষক বানাতে আসছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর ক্রেতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি। সারা বছরের চেয়ে শীতের এ তিন মাস বেচাকেনা একটু বেশিই হয়। তাছাড়াও বিভিন্ন বাসা বাড়িতে এখন এসির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় লেপের কদর অনেকাংশেই রয়েছে। তাই বালিশ, তোষক বানাতে টুকটাক কাজের জন্য আমাদের কদর রয়েছে।