নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : মাদক বিক্রেতাদের উৎপাত বেড়েছে নগরীর পানির ট্যাংকী সংলগ্ন বাজনা পাড়া এলাকাটিতে। গুটি কয়েক স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ ওই এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ দু-একবার অভিযান পরিচালনা করে ছিচকে ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করলেও মাদক ব্যাবসার মূল হোতারা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় বুক ফুলিয়ে সেখানে মাদকের রমরমা বাণিজ্য গড়ে তুলেছে চিহ্নিত কিছু যুবক। মাদকের ছড়াছড়ি এতটাই প্রকট যে প্রকাশ্য দিবালোকে যে কেউ হাত বাড়ালেই চাহিদা মতো সকল প্রকার মাদক সংগ্রহ করতে পারছে সেখান থেকে। মাদকের ভয়াল ছোবলে ইতিমধ্যেই হুমকীর মুখে সেখানকার যুবসমাজ থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী পেশার সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই চিহ্নিত মাদক বিক্রেতাদের রাম রাজত্ব চলছে বাজনা পাড়া এলাকাটিতে। আর এই মাদক ব্যাবসা পরিচালনা করছে স্থানীয় এলাকার খালেক কন্ট্রাক্টার এর পুত্র আকাশ (২৭), ইলিয়াস মিয়ার পুত্র জিতু (২৬)। জিতু ওই এলাকার একসময়ের চিহ্নিত ফেন্সিডিল ব্যাবসায়ী মন্নার ভাতিজা। মূলত এই দু’জনের মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে ইয়াবা ও ফেন্সিডিলের জমজমাট মাদক ব্যাবসা। আর এ দুইজনকে মাদক বিক্রিতে সহযোগীতা করছে রনি এবং মাসুদ।
বাজনাপাড়া এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করে জানিয়েছে, ওই এলাকার নুর ইসলাম মিয়ার গ্যারেজের অপর পাশে স্থানীয় বাসিন্দা সাজু মল্লিক এর নির্মানাধীন বহুতল ভবনটিকে মাদকের আস্তানা বানিয়েছে আকাশ এবং জিতু। মূলত ভবনটি নির্মানাধীন হওয়ায় এবং সেখানে জনসাধারন খুব একটা চলাচল না করায় এই ভবনটি থেকেই মাদক ব্যাবসা পরিচালনা করে তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী এ প্রতিনিধিকে আরো অভিযোগ করে বলেন- পুলিশের কাছে বহুবার ওই সকল মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও দু’একবার তাদের সহযোগীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ কিন্তু মূল হোতারা স্থানীয় ও প্রভাবশালী হওয়ায় থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এসকল চিহ্নিত ব্যবসায়ীদের প্রভাব এতটাই বেশি যে, এদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে মারাত্মক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার (এস.আই) শফিকুল ইসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে শীঘ্রই ওই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে পানির ট্যাংকী সংলগ্ন বাজনা পাড়া এলাকাকে মাদক মুক্ত করতে পুলিশ প্রশাসনের জোড়ালো হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।