নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকে নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন কিংস পার্টি’ খ্যাত তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার। তবে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রূপগঞ্জের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে প্রচারণার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্যোগ ও ভূমিকার সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, রূপগঞ্জে নির্বাচনের পরিস্থিতি অবনতি ঘটানো হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের আশ্বাস ও উদ্যোগের কারণে জনগণের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে এবং আস্থা ফিরে পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আগের দিন চইলা গেছে। ২০১৪ ও ২০১৮ এর পুনরাবৃত্তি এইবার হবে না। নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় আছেন। প্রধানমন্ত্রী জাতির কাছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফলে আগের মতো আপনার ভোট অন্য কোন সন্ত্রাসী দিতে পারবে না। যারা নির্বাচনী কাজে বাধা দিয়ে সন্ত্রাসী ভূমিকা পালন করবে তাদের স্থান হবে জেলখানায়। এইটাই সরকারের সিদ্ধান্ত।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর কাঞ্চনে প্রচারণার সময় তিনি প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘নৌকার সমর্থকরা প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে গোলযোগ সৃষ্টি করছে। মুড়াপাড়ায় ব্যানার-পোস্টার খুলে নৌকার পোস্টার লাগানো হয়েছে। বার বার প্রতিকার চাচ্ছি কিন্তু আশানুরূপ প্রতিকার পাচ্ছি না। এভাবে যদি বারবার অভিযোগ করতে হয় তাহলে নির্বাচন করব কীভাবে।
তবে আজ তৈমুর বলেন, প্রশাসনের উদ্যোগের কারণে জনগণ সোচ্চার হয়েছে। রূপগঞ্জের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হবে বলে মনে করি। কমিশনকে দেশব্যাপী যেন এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় যাতে কোন সন্ত্রাসী বাহিনী নৌকার ক্ষমতা বা অর্থের প্রভাবে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। সাধারণ ভোটারদের নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদানের জন্য অনুরোধ জানান তৃণমূলের এই প্রার্থী। তৈমুর বলেন, আপনার ভোট অন্য কেউ দিতে চাইলে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই বিএনপি নেতা বলেন, আমি দল থেকে আমি বহিষ্কার হয়েছি, বেঈমানি করি নাই। বহিষ্কার অনেক সময় সম্মানজনক। রূপগঞ্জবাসীর কাছে আমি পরীক্ষিত ব্যক্তি। তার আগে দুপুরে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মোটরসাইকেল ও গাড়িবহর নিয়ে শোভাযাত্রা করে চনপাড়ায় যান তৈমুর। পরে তিনি চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে গণসংযোগ শুরু করেন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আচরণ বিধির কোথাও নাই যে গাড়ি নিয়ে আসা যাবে না।