নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারের ঘোষিত বিধি-নিষেধে ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আগামী ১৫ই জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকিং সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১৫, ১৮ ও ১৯ই জুলাই ব্যাংকিং লেনদেন সময়সূচি হবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এছাড়া লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। ১৩ই জুলাই মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ সাইট সুপারভিশন থেকে ইস্যু করা চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জারি করা সার্কুলারের বরাত দিয়ে ব্যাংকিং সময়সূচিতে তিনটি পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযাই আগামী ১৫, ১৮ ও ১৯ই জুলাই ব্যাংকিং লেনদেন সময়সূচি হবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এছাড়া লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে।
সার্কুলারে আরও জানানো হয়, ঈদের আগে তৈরি পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি বিল বিক্রি এবং পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন-বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকের তৈরি পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট শাখাসমূহে ১৭ ও ২০ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে। লেনদেন পরবর্তী আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম চলবে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এক্ষেত্রে ওইসব শাখায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে বলা হয়।
এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া) বিধিনিষেধ চলাকালে সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেন চলবে। লেনদেন পরবর্তী আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম চলবে বিকাল ৩টা পর্যন্ত।
সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়, স্বাস্থ্যবিধি পালনপূর্বক সীমিত সংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের প্রয়োজনীয় বিভাগসমূহসহ ব্যাংক স্বীয় বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা খোলা রাখতে পারবে। এছাড়া বিধি-নিষেধ চলাকালে নিচের ব্যাংকিং সেবা চালু রাখতে হবে। এছাড়া কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে । এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহসহ সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। সমুদ্র ও বিমান বন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা/উপ-শাখাগুলো সার্বক্ষণিক খোলা রাখাতে হবে।
একইসঙ্গে যে সকল শাখা বন্ধ থাকবে সেইসব শাখার গ্রাহক সেবা পেতে খোলা রাখা শাখার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদান করতে হবে। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অফিসে যাতায়াতের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে । তবে যাতায়াতের সময় ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারিগণকে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয়পত্র বহন করতে হবে।