বিয়ের প্রলোভনে নারী ধর্ষণকারী সেই প্রবাসী হৃদয় জেলে

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মধ্যবয়সী এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রবাসী হৃদয় মিয়া (৩২)। গত ২৫ জুলাই সোমবার গভীর রাতে সদর থানার গোগনগর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত যুবক হৃদয় মিয়া নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীণ আলীরটেকের পুরাতন গোগনগরের মো. ইদ্রীস আলীর ছেলে। ২৭ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরেই ধর্ষিতা ওই নারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় তাকে কোর্টে প্রেরন করা হয়।

এর আগে গত সোমবার রাতে ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আবুল বাশার মামলার এজাহার হাতে পেয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত পোনে ২টায় সদর থানার গোগনগর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা জানান, ধর্ষণ মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ধর্ষক প্রবাসী ফেরৎ হৃদয়কে শহরের গোগনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে ওই মামলায় বুধবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীণ আলীরটেকের পুরাতন গোগনগরের মো. ইদ্রীস আলীর ছেলে হৃদয় মিয়া সূদুর ওমানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে পরিচয় হয় সোনারগাঁয়ের ভুক্তভোগী ৩৩ বছর বয়সী ওই নারীর সাথে। এক পর্যায়ে প্রেম ভালোবাসার সর্ম্পক হয় তাদের মাঝে। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারী বাংলাদেশে আসেন হৃদয়। এরপর সেই নারীকে বন্দরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যান। মদনপুরের সাইরা গার্ডেনে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। ওই নারী বিয়ের কথা বললে সে নানা তাল বাহানা করে সময় ক্ষেপন করে।

সর্বশেষ ৩১ মে ওই নারীকে বিয়ে করবে বলে প্রবাসী যুবক হৃদয় মদনপুর ষ্ট্যান্ডে আসতে বললে বিয়ের কাজী আসবে বলে পুণরায় মদনপুর সাইরা গার্ডেনে আবাসিক হোটেলে নিয়া যায়। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখাইয়া আবারো শারিরীকভাবে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে বিয়ে করতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। বিয়ের দাবিতে অভিযুক্ত হৃদয়ের বাড়িতে যান ভুক্তভোগী নারী। তার ভাই ও মাকে সবকিছু জানালে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। পরে ওই ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবক হৃদয়ের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত