নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : পঁচাত্তরের কালরাতে যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের ওপর চরম বিপর্যয় নেমে এসেছিল তখন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৩শে জানুয়ারি রবিবার পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব স্মৃতিচারণা করেন তিনি
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের প্যারেড গ্রাউন্ডে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি জাতির পিতার ভাষণের উদ্ধৃতি তুলে ধরে পূর্বসূরিদের ঐতিহ্য ধরে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
১৯৭৫ সালের ১৫ই জানুয়ারি রাজারবাগে প্রথম পুলিশ সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানের ভাষণে জাতির পিতা বলেছিলেন, এই রাজারবাগে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের কথা মনে রাখতে হবে। তারা আপনাদেরই ভাই, তাদের রক্ত যেন বৃথা না যায়।
পঁচাত্তরের বিয়োগান্তক ঘটনা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুলিতে আহত ছিলেন আমার ফুফু ও আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সাহেবের ছেলে, স্ত্রীসহ আমার ফুফাতো ভাই–বোনেরা। যখন খুনিরা আক্রমণ করে চলে যায়, তখন রমনা থানা থেকে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাড়িতে গিয়ে আহত–নিহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান। শুধু পুলিশের এই সাহসী ভূমিকায় আমার ফুফু বেঁচে ছিলেন। তিনি পঙ্গু অবস্থায় বাকি জীবন কাটান। আমার দুই ফুফাতো বোন ও ভাই বেঁচে যান।
বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে হামলায় বাধা দিতে গিয়ে গুলিতে নিহত পুলিশের বিশেষ শাখার এএসপি সিদ্দিকুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর ছয় বছর তিনি ছোটবোন শেখ রেহানাসহ রিফিউজি জীবন কাটাতে বাধ্য হন। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাকে সভাপতি নির্বাচিত করায় দেশে ফেরেন তিনি। তখন জাতির পিতার খুনিরা ক্ষমতায়, তথাপি দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সংকল্প নিয়ে একরকম জোর করেই তিনি দেশে ফিরে আসেন।
প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সপ্তাহের প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। তার পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাহস ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুলিশ সার্ভিসের কৃতি সদস্যদের পুলিশ পদক পরিয়ে দেন। রাজারবাগে অনুষ্ঠিত ঢাকা মহানগর পুলিশ লাইনসে এই অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।