নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১৬ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে দেশের মানুষকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে তিনি এ শপথ পড়াবেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে মহাবিজয়ের মহানায়ক শিরোনামে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজনের প্রথমদিন ১৬ই ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী সবাইকে যেসব শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। তিনি যেসব শপথ বাক্য পাঠ করাবেন তা এরই মধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।
আজ বিজয় দিবসে দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না- দেশকে ভালোবাসবো, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।
মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বিশেষ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে শপথ অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
ওই চিঠিতে সব বিভাগ/জেলা/উপজেলা স্টেডিয়াম/মহান বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যুতে শপথ অনুষ্ঠানটি আয়োজনের পরামর্শ দেওয়া হয়। বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে শপথ নেওয়া যাবে। অন্যান্য স্থান সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান অনুসরণ করবে। এ সময় শপথ গ্রহণকারীরা জাতীয় পতাকা হাতে শপথ নেবেন বলে চিঠিতে জানানো হয়েছিল।