নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে বিএনপির সমর্থন নিয়ে যে সকল প্রার্থীরা পরবর্তীতে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন, তাদের সকলকে বিএনপি থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। ৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাসদাইর মজলুম মিলনায়তনে কর্মী সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এসময় বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে এ ঘোষণা দেন জেলা বিএনপির সভাপতি এড. তৈমূর আলম খন্দকার।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, যারা দলের মধ্যে থেকে বেইমানী করেছে এবং সরকারী দলের সাথে আতাঁত করে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থান দূর্বল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে, তাদের দলে কোন ঠাঁই নেই। এবার নারায়ণগঞ্জের ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা বলে মনোনয়ন গ্রহণ করে পরবর্তীতে যারা প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছে তাদের সকলকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হলো।
তিনি আরো বলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুল আলম সেন্টু দলের সমর্থন না নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। যা কি দলের জন্য অপমানজনক। এ সকল নেতারা ঘরে বসে রাজনীতি করে দলের দুঃসময়ে তাদেরকে মাঠে দেখা যায় না। অথচ পদ-পদবির সময় তারা সবার আগে থাকে। এসকল নেতারা দলের কোন সাংগঠনিক কর্মকান্ডে উপকারে আসে না। তাই তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে এদেরকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হলো। তাদের ব্যাপারে দলের মহাসচিবকে অবহিত করা হবে। তিনি যে সিদ্ধান্ত দিবেন। সেটাই কার্যকরি হবে।
সাময়িক ভাবে দল থেকে বহিস্কৃতরা হলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুল আলম সেন্টু, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওমর আলী, বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুমন আকবর, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুলসহ কুতুবপুরের আকবর হোসেন, রূপগঞ্জের গোলজার। বহিস্কৃতদের দায়িত্ব পালন করবে সহ-সভাপতি।