নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : করোনা প্রার্দুভাবে লকডাউন জেলায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এ ভাইরাস সংক্রমন নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যান্য দেশের যোগাযোগ অনেকটাই বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন দেশের ফ্লাইট ও ভোগ্যপণ্য আমদানি। এমন অযুহাতে বেড়ে গেছে বাচ্চাদের খাওয়ানো দুগ্ধের দামও। ল্যাকটোজেন-৩ দুগ্ধের দাম একসময় ১৯শত টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৩হাজার ৫শত টাকায়। অনকেই বিকল্প না পেয়ে বাধ্য হয়ে কিনছেন এ পন্য।
সোমবার (২০ এপ্রিল) সকালে নগরীর দিগুবাবুর বাজার ও কালিবাজারের অধিকাংশ দোকনে নেই অনেক বিদেশী শিশু খাদ্যপণ্য। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও বিক্রি হচ্ছে চড়া মূল্যে।দোকান মালিকদের দাবি এয়ারর্পোট বা নদী বন্দর থেকে বিদেশী পন্য না আসায় মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। দিগুবাবুর বাজার সংলগ্ন ১নং রেল গেইট সংলগ্ন গুটি কয়েক দোকানে থাকলেও যা ইচ্ছে দামে বিক্রি হচ্ছে। ভুক্তভোগী একজন ক্রেতা বাধ্য হয়েই ৩৫ টাকা দিয়ে কিনেছেন।
বাজারের সর্বশেষ তথ্যমতে, বিদেশী নেসলে কোম্পানির লেকটোজেন দুধ ৬৫০ গ্রাম ১ হাজার ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, ১ কেজি ৮০০ গ্রাম পরিমাণের দুধ ২ হাজার ৭০০ টাকা এবং আড়াই কেজির দাম ৩ হাজার ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। যা স্বভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ। নেসলে কোম্পানির ন্যান দুধের কৌটা ৩ হাজার ৩০০ টাকা। যা কিছুদিন আগেও ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। যা বৃদ্ধি মূলেও বিক্রি করা হচ্ছে।
এমন অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা বলেন, কারো কাছেই এ সকল পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। যাদের কাছে আছে তারাও চাড়া দামে সাপ্লাই দিচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। আমরাও না পেরে বিক্রি করছি। তাও শেষ পর্যায়।
এক ক্রেতা বলেন, বাচ্চাকে তো আর না খাইয়ে রাখা যাবে না। তাই বাধ্য হয়ে কিনতেই হচ্ছে। তার উপর বাজার শিশু খাদ্যপণ্য নেই। কিছুদিন পর নাকি আর পাওয়াই যাবে না। এভাবে কতদিন চলবে আল্লাহ জানে। অনেক খোঁজার পর পেয়েছি।তবে দাম অনেক বেশি। প্রায় দ্বিগুণ দাম দিয়ে কিনতে হলো। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে তো আর বাচ্চাদের খাওয়ানো যাবে না। তাদের অভিযোগ, অসাধু কিছু ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের দায়সারা ভাবের কারণেই বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য। দাম বৃদ্ধি রোধে ছদ্মবেশে প্রশাসনের নজরদারির বিকল্প নেই।