বাংলাদেশ ছাত্রলীগে কে এই মৃত্যুঞ্জয়ী?

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিনিধি ) : আসন্ন ৩১ মার্চ, অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইতিহাসের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশের নেতাকর্মীদের মধ্যে যখন নতুন উদ্যম লক্ষ্যনীয়, সংগঠনের শীর্ষ পদ পেতে যখন মরিয়া হয়ে পড়েছেন।  শতাধিক পদপ্রত্যাশীরা যোগ্যতা এবং দলের জন্য ত্যাগকে সামনে এনে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিক তখনি হঠাৎ আলোচনায়  বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অন্যতম সহ-সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয়ী খ্যাত ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন জীবন।

কে এই মৃত্যুঞ্জয়ী?

এ এক দু:সাহসি গল্প মৃত্যু দিয়ে ঘেরা যার জীবন, মৃত্যুকে জয় করে আজও রাজপথে বলীয়ান এক বজ্রকন্ঠস্বর, মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখার এক অপার অভিজ্ঞতার ক্ষত নিয়ে ছুটে চলা নতুন দিগন্তে বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে বাস্তবায়ন করার প্রচেষ্টায় যে প্রান মৃত্যুঞ্জয়ী ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন জীবন। গত ২৫ শে জানুয়ারি ২০১৩ সালে নৃশংসভাবে হামলা চালায় তার উপর, ঢাকা কলেজ এর মূল ফটকে রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে বসে থাকা অবস্থায় ছাত্র নামধারী কতিপয় সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা করে ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন জীবন এর উপর, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে তার স্থান হয় ঢাকা মেডিকেল, পপুলার, ল্যাব এইড, কেয়ার হয়ে আপ্যোলো হাসপাতালের আইসিইউতে।

অচেতন অবস্থায় আইসিইউতে পরে থাকা নিথর দেহটি তখন প্রান আছে খানিকটা। চলতে থাকে টানা অস্ত্রপাচার, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা  লড়ে নিথর দেহটি। মাথার বাম অংশ ২৩ খন্ড হয়ে যায়, ডান পা ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায় সেদিনের হামলায়। ভাগ্যজোরে বেঁচে গেলেও ডান পায়ে চিরস্থায়ী ব্যাথা, মাথার বাম অংশ আর্টিফিশিয়াল, কপালটা ফুটো নিয়ে এখনো বেঁচে আছে মৃত্যুকে জয় করা ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন জীবন এই জন্যই তার নামের আগে যোগ হইছে মৃত্যুঞ্জয়ী।

নিজের সংগঠনের জন্য সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছেন যে, খানিকটা সময়ের জন্য ছাড়দেননি কাউকে ছাত্রলীগকে ভালোবেসে যার অবারিত পথচলা সেই আজকের জীবন। আসন্ন সম্মেলন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সম্মেলনকে ঘিরে পদপ্রত্যাশী অনেকেই তবে সংগঠনের জন্য যারা ত্যাগ করতে জানে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী, ছাত্রত্ব আছে, অবিবাহিত, ক্লিন ইমেজ, সাংগঠনিক যোগ্যতাসম্পন্য, মেধাবী এবং সংগঠনের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত এমন নেতা নির্বাচিত হলে দেশ এবং ছাত্রলীগ দুটোরই উপকার হবে।

তবে, নিজের জন্য কিছুই চাওয়ার নেই ছাত্রলীগকে মনে প্রানে ভালোবাসি আমার প্রানের সংগঠনটি আঁকড়ে ধরে বেচে থাকতে চাই। আসন্ন নির্বাচন নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার প্রত্যয়ে গড়ে উঠবে আগামীর ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় অপশক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে মুক্তিযুদ্ধে প্রান দিয়েছে আমদের ১৭ হাজার নেতাকর্মী আমরা একটুও বিচলিত হইনি বরং ভবিষ্যৎ যদি দরকার হয় আমরাও প্রস্তুত।

add-content

আরও খবর

পঠিত