নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দর ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সেচ্ছাচারিতা চরম আকার ধারন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদ্রাসার ক্লাশ বন্ধ দিয়ে ১০ অক্টোবর সোমবার জামাত নেতাদের নিয়ে আনন্দ ভ্রমনে গেছেন। তারা খাগড়া ছড়ি, কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাবেন বলে জানা গেছে। মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটির গ্যাজেট অনুযায়ী ১১ অক্টোবর মঙ্গলবার দূর্গা পুজার বন্ধ ১২ অক্টোবর পবিত্র আশুরার বন্ধ ১৩ তারিখে কোন বন্ধ নাই। অথচ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ নূরুল হক নিজের সেচ্ছাচারিতায় আগামী ১৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার ক্লাশ বন্ধ দিয়ে কতিপয় জামাত নেতাদের নিয়ে আনন্দ ভ্রমনে গেছেন। আগামী ২০ নভেম্বর হতে মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১ নভেম্বর হতে জেডিসি পরীক্ষা শুরু হবে এ সময়ের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার ক্ষতি করে তারা ভ্রমনের নেসায় মাতোয়ারা হয়ে উঠেছেন।
জানা গেছে, বছরের প্রথম হতে প্রতি মাসে মাসে ক্লাশ ছুটি দিয়ে ভ্রমনের জন্য জামাত নেতাদের নিয়ে গোপন বৈঠক করে। গত রবিবার বিকাল ৩টায় মাদ্রাসার ক্লাশ ছুটি দিয়ে ভ্রমনের প্রস্ততি গ্রহনের জন্য গোপন বৈঠক করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদ্রাসার এক শিক্ষক জানান, অধ্যক্ষ মাওলানা নূরুল হকের দুর্ণীতি ও বৈড়ী আচরনের কারণে মাদ্রাসার ১৪ জন শিক্ষক কর্মচারী তাদের সাথে সফরে যাচ্ছেন না। কারণ অধ্যক্ষের ছিন্ডিকেটের শিক্ষকদের পরিবারের সকল লোক ও তাদের আত্বীয় স্বজনদের বিনা ফিতে ভ্রমণে নেন। অধ্যক্ষের সিন্ডিকেটের বাহিরের শিক্ষকদের কাছে অতিরিক্ত ৩ হাজার টাকা দাবী করা হয়েছে। ভ্রমনে না যাওয়া শিক্ষকদের দাবী বছরের প্রথম হতে বিভিন্ন খাতে ভ্রমনের নামে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা জমা করা হয়েছে ঐ টাকা সমান হারে তাদের মাঝে বন্টন করে দিতে। কিন্তু এ টাকা চাওয়ায় শিক্ষক কর্মচারীদের এখন বিপদ হয়ে দাড়িয়েছে কারন অধ্যক্ষের খুটির জোর স্বয়ং মাদ্রাসার সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ। অন্যান্য বছর সভাপতিকে ভ্রমনে নেয় হয় না এ বছর মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীগন টাকার হিসাব চাওয়ায় উপায়ান্তর না পেয়ে সভাপতির স্বপরিবার ও তার আত্মীয় স্বজনসহ ভ্রমনে নিয়ে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার এক কর্মচারীগন দুঃখ করে জানান, বর্তমান অধ্যক্ষ এ মাদ্রাসায় যোগদানের পর থেকেই শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে রেখেছে। বন্দর ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্ণীতি ও অনিয়মের ব্যাপারে স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশ হওয়ায় এলাকার তোলপাড় শুরু হয়েছে। মাদ্রাসার ক্লাশ বন্ধ দিয়ে ভ্রমনে যাওয়ার ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন অভিভাবক মহল।