নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদ দাতা ) : বন্দরে চোর আখ্যা দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় একই পরিবারের ৩ শিশুকে নির্যাতন ও পুড়িয়ে আহত করার ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা হয়েছে। ৫ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে মনি বেগম বাদী হয়ে খলিল মেম্বারসহ ৩ জন অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা এন্ট্রি করা হয়। যার মামলা নং-১৫(১০)১৮ইং।
উল্লেখ্য, গত বুধবার দুপুরে অসহায় ভিক্ষুক মনি বেগম খলিল মেম্বারদের বাড়ির এক ভাড়াটিয়ার বাড়িতে দুপুরের খাবারের জন্য আকুতি করে এবং সেখানে সে ৩ সন্তানদের নিয়ে দুপুরের আহার করে। পরে তিনি ভিক্ষার উদ্দেশ্যে মদনপুর সিএনজি স্ট্যান্ড এর সামনে পৌছালে অজ্ঞাত কয়েকজন যুবক তাদের চোর আখ্যা দিয়ে মেম্বাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সেখানে একটি আম গাছে বেধে মনিকে রড দিয়ে পিটিয়ে মোবাইল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি নেয়ার চেষ্টা করে।
পরে খলিল মেম্বার বাড়িতে এসে মনি বেগমকে একটি কক্ষে নিয়ে বলেন, আমি তো মেম্বার তাই আমার বাড়িতে চুরি হওয়াটা অসম্মানের। তোমাকে বরং ৫ হাজার টাকা দেই তুমি মোবাইল ফেরত দিয়ে দাও !
প্রতুত্তরে মনি বেগম বলেন, আমি মোবাইল চুরির সাথে জড়িত নই, আমি ভিক্ষা করে ৩ সন্তান নিয়ে কোন রকমে জীবন চালাই। চুরি করা আমার পেশা না। মানুষ দয়া করে যা দেয় তাই দিয়ে সংসার চালাই। এরপর কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই মেম্বারের নির্দের্শে তার বাহিনী ঐ পরিবারের সাথে নরপশুতা কর্মকান্ড শুরু করে। মনিকে ঘরে আটকে রেখে তার ৭ ও ৯ বছরের ২ সন্তানকে লাঠিসোটা দিয়ে পেটাতে থাকে। এক পর্যায় মেম্বার বাহিনীর সদস্যরা লোহার গরম খুন্তি দিয়ে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে দেয়। ছাড় পায়নি তার ৩ বছরে ছোট্ট মুক্তাদি । মুক্তাদিকে তার মায়ের সামনে গলা চেপে ধরেও চুরির ব্যাপারটি স্বীকারের ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালায় তারা। পরিশেষে ইয়াবা দিয়ে মামলা ও ধর্ষনের ভয় দেখান মেম্বার খলিল। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় কৌশলে তারা পালিয়ে এসে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।