বন্দরে ২৭০০ পিস ইয়াবা গিলে খেল ইউপি সদস্য আমিনুল

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : মাদক বিরোধী সমাবেশ করার  পর বন্দরে লাঙ্গলবন্দ এলাকায় পুলিশের তৎপরতায় ব্যবসায়ীরা ২৭০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জমা দেয় স্থানীয় ইউপি এক সদস্যের কাছে। পুলিশের কাছে ঐ ইয়াবা জমা না দিয়ে তার নিজ দখলে রেখেই অন্যেত্রে বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। মাদক ব্যবসায়ীদের ঐ গডফাদারের নাম আমিনুল। সে মুছাপুর ইউপির  ২নং ওয়ার্ডের সদস্য এবং লাঙ্গলবন্দ চিড়ইপাড়া কলোনীর মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।

এলাকাবাসী জানান, গত ১৩ নভেম্বর বন্দর থানা ফটকে এক মাদক বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেন, উপজেলা মুছাপুর ইউপির  লাঙ্গলবন্দ কলোনীতে ঘরে ঘরে মাদক। মাদক নিয়ন্ত্রন করতে উপস্থিত পুলিশ সুপার মঈনুল হককে নিদের্শ দেন। এর পর থেকে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এলাকাবাসী। ১৪ নভেম্বর রাতে  টেকনাফের  এক মাদক ব্যবসায়ী ৩ হাজার পিস ইয়াবার চালান নিয়ে লাঙ্গলবন্দ কলোনীতে আসেন। এরপর ঐ এলাকার মনির হোসেন নামের এক ব্যাক্তি ইয়াবার চালান কেড়ে নেয়। পরে   মেম্বার আমিনুল তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মনিরকে পুলিশের ভয়ভীতি দেখিয়ে ২৫০০ পিস ইয়াবা নিজের দখলে নেয়। শুক্রবার কলোনীর ফাতেমা বেগমের মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একমত পোষন করে  তার ছেলে ফারুকের কাছ থেকে ২শত ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ ৫ হাজার টাকা স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা আমিনুল মেম্বারের কাছে জমা দেয়। আমিনুল মেম্বার পৃথক ভাবে ২৭০০ পিস ইয়াবা পুলিশের কাছে জমা না দিয়ে নিজে আতœসাত করে।

এছাড়াও  আমিনুল মেম্বার আলো বেগম নামের এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে তার বাড়িতে রেখে মাদক ব্যবসা করাতেন। ঐ নারী মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমিনুলের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব হওয়ার পর তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আওয়ামীগ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি ক্ষমতা আসার পর আমিনুল কলোনী পাড়া এলাকার নিরীহ সাধারণ মানুষ ও স্কুলের সম্পত্তিসহ সরকারী জমি দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করে।

কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (এসআই) আব্দুল হাকিম জানান,  আমিনুল মেম্বারের কাছে মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবা জমা দেয় বলে ঘটনাটি শুনেছি। এখনো জমাকৃত ইয়াবা পুলিশের কাছে জমা দেয়নি। তবে এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। পুলিশের কাছে উদ্ধারকৃত মাদক জমা না করলে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা  করে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে লাঙ্গলবন্দ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সচেতন মহল আমিনুল মেম্বার অপকর্মের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করলেও আমিনুল মেম্বার তা এড়িয়ে যান।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত