নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্দরে সিএনজি ও অটো ইজিবাইক চালকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় বিক্ষুদ্ধ অটো ইজিবাইক চালকরা সিএনজি স্ট্যান্ডে অর্তকিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ৭/৮টি সিএনজি ভাংচুর করে। ২৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বন্দর ১নং খেয়াঘাট সিএনজি স্ট্যান্ডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় ৬ জন সিএনজি চালক মারাত্মক ভাবে জখম হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। আহতরা হলো, সিএনজি চালক রিপন (৩৮) সিপন (৩৫) আহাম্মদ শরিফ জনী (৪১) ফারুক (৪০) ইসমাইল (৪৫) ও ছোট ইসমাইল (৩৬)। আহতদের পথচারি ও অন্যান্য সিএনজি চালকরা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
এ ব্যাপারে প্রত্যেক্ষদর্শী এক সিএনজি চালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে গনমাধ্যমকে জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় অটো ইজিবাইকের একজন চালক যাত্রী নেওয়ার জন্য বন্দর ১নং খেয়াঘাটে যানজট সৃষ্টি করে। ওই সময় বন্দর থানার মদনগঞ্জ লক্ষারচর এলাকার মৃত আমানউল্ল্যাহ মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক আহাম্মেদ শরিফ জনী অটো ইজিবাইক সাইট করা কথা বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অটো ইজিবাইক চালক জনী, রাজু, আপন, রোমান ও জুম্মানসহ ৩০/৪০ জন অটো চালক বন্দর ১নং খেয়াঘাট সিএনজি স্ট্যান্ডে অর্তকিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিরা সিএনজি স্ট্যান্ডে ব্যাপক ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ৭/৮ সিএনজি ভাংচুর চালায়। ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয়ে কমপক্ষে ৬ জন সিএনজি চালক রক্তাক্ত জখম হয়। ওই সময় হামলাকারিরা সিএনজি চালকদের বেদম পিটিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় বন্দর খেয়াঘাট দিয়ে চলাচলরত সাধারন যাত্রীদের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ ফখরুদ্দীন ভূইয়া সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গনমাধ্যমকে জানায়, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এতে বেশ কয়েকজন চালক আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে আসেনি।