বন্দরে শ্বশুর বাড়ির অত্যাচার ও প্রবাসী স্বামীর অপপ্রচারে অতিষ্ট স্ত্রী

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (স্টাফ রিপোর্টার) : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে শ্বশুর বাড়ির লোকেদের অত্যাচারে পিত্রালয়ে গিয়েও নানা হুমকী ধামকী ও অপপ্রচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে মনিকা নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী। একদিকে শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ ও মামা শ্বশুরের লাঞ্ছনা অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবাসী স্বামীর কুৎসা রটানো অপপ্রচারে এখন কোনঠাসা সে নারী সহ তার পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় সমাজে স্বাভাবিক চলাচল ও নিরাপত্তা চেয়ে বন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন মনিকা।

ভুক্তভোগীর অভিযোগে জানা গেছে, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত জাপান প্রবাসী ইয়াসিন আরাফাতের সাথে বিবাহ হলেও স্বামীর বরন পোষন থেকে বঞ্চিত স্ত্রী মনিকা। তারপরেও স্বামীর পরিবারকে সুখী করতে শ্বশুর বাড়িতে যৌথ পরিবারের সাথে বসবাস করছিল সে। কিন্তু শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ ও মামা শ্বশুরের ধারাবাহিক অত্যাচার, তাকে রোজই পীড়া দিতো। এসব বিষয়ে বিভিন্নসময়ই কথা কাটাকাটি থেকে সর্পশকাতরস্থানে আঘাতসহ হাতাহাতি পর্যায়ে গেলেও মারধরের শিকার হয়ে চুপ থাকতো প্রবাসীর স্ত্রী মনিকা। এ নিয়ে মাঝে মাঝে স্বামী ইয়াসিন আরাফাতকে জানালেও সমাধানে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া পাননি স্ত্রী মনিকা।

এরই ধারাবাহিকতায় শ্বশুরালয়ের নির্যাতনের কথা জানতে পেরে প্রবাসীর স্ত্রী মনিকার বাবা একদিন বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া এলাকায় মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে চলে আসে। আর সেদিনই উন্মোচিত হয় শ্বশুরালয়ের মুখোশ, ছাড় দেয়নি মেয়ের বাবাকেও। হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে মারধর করে বাবা ও মেয়েকে একটি নির্জণ ঘরে তালাবদ্ধ করে আটকে রাখা হয়্। পরবর্তিতে প্রবাসী স্ত্রীর বড় বোন আইনরে সহায়তা নিয়ে তাদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

এ বিষয়ে বন্দর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আবুল খায়ের জানান, মেয়েটি শ্বশুর বাড়ি থাকতে চাচ্ছিল না। সেক্ষেত্রে আমাদের জানানোর পর তার বাবার কাছে তুলে দেয়া হয়েছে। আমাদের কাছে জিডি রয়েছে, আইনগতভাবে আমরা কাজ করছি। আমার উর্ধতন কর্মকর্তাও এই বিষয়টি জানেন। হয়তো এই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে পাঠিয়ে দিবো।

তবে সকল অভিযোগ অস্বিকার করে প্রবাসী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, এই মেয়ের আগে বিয়ে হয়েছে। তাছাড়া আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়েছে। এ বিষয়টি জজ শেষ করে দিয়েছে। এসপি স্যারও ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে। কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে, তিনি বলেন, সব কাগজপত্র আছে। আপনি আমার মায়ের সাথে যোগাযোগ করেন। ফেসবুকে অপপ্রচার চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জানিনা। তবে যা কিছু লিখা রয়েছে তা তো সত্যিই বলে তিনি দাবী করেন।

অন্যদিকে, এসব বিষয়ে মনিকার শাশুড়ির সাথেও কথা হলে তিনি জানায়, আমি অনেক চেষ্টা করেছি তাদের সংসার টা যেন ঠিক থাকে। ছেলের বউ হিসেবে আমি অনেক আদর দিয়েছি। কোন কিছুতেই আমি কমতি রাখিনি। কয়েকবার পঞ্চায়েত কমিটি নিয়েও বসেছি। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নিয়েও বসা হয়েছে। সমাধান পাইনি।

add-content

আরও খবর

পঠিত