বন্দরে যৌতুকের বলি গৃহবধূ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদদাতা ) : বন্দরের নবীগঞ্জ কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় যৌতুকলোভী স্বামীর বর্বরোচিত নির্যাতন ও ছুরিকাঘাতের শিকার হয়ে ৪ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন গৃহবধূ মুক্তা। শুক্রবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মুক্তা বেগমের।  শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ নবীগঞ্জ কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নিহতের মা শিল্পি বেগম গণমাধ্যমকে জানান, তার মেয়ে মুক্তাকে নবীগঞ্জ কবরস্থান সংলগ্ন সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ইলেকট্রনিক্স মিস্ত্রী দেলোয়ার প্রায় ৫ বছর পূর্বে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে দেলোয়ার, তার মা চানবানু ও বাবা সিদ্দিক মিয়া যৌতুকের জন্য নানাভাবে নির্যাতন করতো। গত বুধবার ৫ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্বামী দেলোয়ার এক সন্তানের জননী গৃহবধূ মুক্তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে। এসময় ধারালো চাকু দিয়ে মুক্তার পেটের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা ছাড়াও মুখে বিষাক্ত সুপার গ্লু আঠা দিয়ে মুখ বন্ধ করে নির্মমভাবে মুক্তাকে পিটুনি দেয় স্বামী দেলোয়ার। পরে বাড়ির ভাড়াটিয়ারা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২দিন আইসিউতে পর্যবেক্ষণে থাকার পর শুক্রবার রাতে সে মারা যায়।

শনিবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ এলাকায় নিয়ে এলে নিহতের পিত্রালয় মাঠপাড়ায় মানুষের ঢল নেমে আসে। সকলেই হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

 এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই দিন পূর্বেই নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে। নিহতের পিতা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে নারী নির্যাতন মামলা করেছিলেন। এখন এ মামলায় হত্যার ধারা বসে যাবে। আর পুলিশ আসামি গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ঘটনার পর থেকে একমাত্র অভিযুক্ত স্বামী দেলোয়ার পলাতক রয়েছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত