নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদদাতা ) : বন্দরে ছায়া-নূূর জেনারেল হাসপাতাল এন্ড মেডিকেল সেন্টারে নার্স ধারা ডেলিভারি করার সময় ভুল চিকিৎসায় নবজাতক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২ টার সময় বন্দর হাফিজিবাগ এলাকার হানিফ মিয়ার স্ত্রী রতনা বেগম (২০) এর ডেলিভারি করার সময় এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী সহীদসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সহযোগিতায় ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্ঠা করেন এবং বাদীকে কোনরকম আইনের সহযোগীতা নেওয়া থেকে বিরত রাখেন।
সংশ্লিষ্টসূত্রে জানতে পারা যায়, ছায়া-নূূর জেনারেল হাসপাতাল এন্ড মেডিকেল সেন্টারে একাধিকবার ভূল চিকিৎসার ফলে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। স্থানীয় কিছু অর্থ লোভী ব্যক্তিদের মাসোহারা টাকা দেওয়ায় ঘটনা গুলী অর্থ লোভী ব্যক্তিরা তাদের নিজ উদ্যোগে ধামাচাপা দিয়ে থাকেন।
এব্যপারে রোগী রতনার ফুফু করুনা সাংবাদিকদের বলেন, আমার ভাইয়ের মেয়ে রতনার বাচ্চা প্রসবের সময় হলে তাকে বন্দর বাজার কেয়ার জেনারেল হাসপাতলে নিয়ে যাই সেখানে ডাক্তার না থাকায় আমাদের অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় পরে আমরা তাকে ছায়া-নূূর জেনারেল হাসপাতাল এন্ড মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসি এবং দাম কষাকষি করে ডেলিভারির জন্য বিতরে ডোকায়। কিছুক্ষণ পর বাচ্চা নরমাল ডেলিভারি হয় কিন্তু আমাদের বাচ্চা দেখতে দেয়না অনেকখন অপেক্ষার পর আমরা জোরকরে বাচ্চা দেখতে যাই গিয়ে দেখি বাচ্চার নাকে অক্সিজেন লাগিয়ে রাখছে কিন্তু অক্সিজেন মেসিন বন্ধ তাদের অক্সিজেন মেসিনের কথা বললে আমাদের সাথে উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং কিছুক্ষণ পর বলে, আপনাদের বাচ্চার অবস্থা বেশি ভালো না আপনারা তাকে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। আমরা তার কাছে রেফার কাগজ চাইলে আমাদের একটি ভিজিটিং কার্ড ধরিয়ে বলে আপনরা এই কার্ড দেখালেই চলবে আমরা বাচ্চাকে নারায়ণগঞ্জ নিয়ে গেলে সেখানকার ডাক্তার আমাদের বলে বাচ্চা মারা গেছে। পরে আমরা ছায়া-নূূর জেনারেল হাসপাতাল এন্ড মেডিকেল সেন্টারে এসে জান্তেপারি যে ডাক্তারা ডেলিভারি করেছে আখি ও তছলিমা তারা কোন ডাক্তার না এবং নার্সও না তারা ছায়া-নূূর জেনারেল হাসপাতাল এন্ড মেডিকেল সেন্টারে কাজ করে। তাদের ভুলের কারণেই আমাদের বাচ্চা মারা গেছে।
এব্যপারে ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিল মো. সুলতান আহম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, ছায়া-নূূর জেনারেল হাসপাতাল এন্ড মেডিকেল সেন্টারে বিরুদ্ধে পূর্বে আরো একাধিক শিশু মৃত্যুর সংবাদ আমার কাছে আসছে। এই ধরনের ক্লিনিকের বিরুদ্ধে সরকার কেনো যে কোন ব্যবস্থা নেয় না আমি বুঝিনা।
এব্যপারে ছায়া-নূূর জেনারেল হাসপাতাল এন্ড মেডিকেল সেন্টারে কর্র্মরত আখির সাথে আলাপ কালে বলেন, আমার এবং তাসলিমার শিক্ষাগত কোন অভিজ্ঞতা না থাকলেও বিভিন্ন ক্লিনিকে কাজ করে ডেলিভারি অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা রতনার ডেলিভারি করার সময় আমাদের মেডাম ডা. নূর-এ-নাজমা লিমার সাথে মোবাইল ফোনে আলাপ করে ডেলিভারি করি এবং বাচ্চার যখন অবস্থা খারাপের দিকে তখন আমাদের মেডামকে ফোন করি। কিন্তু সে ফোন ধরে না, যার ফলে বাচ্চা মারা যায়। আমাদের কোন দোষ নেই আমাদের মেডাম যেভাবে করতে বলেছে আমরা সেই ভাবে করেছি।
এব্যপারে ছায়া-নূূর জেনারেল হাসপাতাল এন্ড মেডিকেল সেন্টারে চেয়ারম্যান ডা. নূর-এ-নাজমা লিমার সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, রোগী আসার কিছুক্ষন পরেই ডেলিভারি হয় বাচ্চা কান্না না করায় আমার ডিপ্লোমা সিস্টার তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখে, কিছুক্ষন পর বাচ্চাটা মারা যায়। এ বিষটি স্থানীয় লোকদের মাধ্যমে সমাধান হয়েছে।