নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরে সিমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রবাসীর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয়ে শিশুসহ একই পরিবারে ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো প্রবাসী স্ত্রী লাবুনি আক্তার (৩৫), বৃদ্ধা মাতা কবিরুন নেছা (৬৩), বোন শাহানাজ (৩৪) শিশু কন্যা শাফা (৮) ও প্রবাসীর এক মাত্র ছেলে জোনাইদ (১০)। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। ১০ই জুলাই শনিবার সকালে বন্দর উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতরা ৯৯৯ ফোন করে হামলাকারিদের হাত থেকে প্রাণ রক্ষা পেয়েছে বলে এলাকাবাসী সূত্যে জানা গেছে।
আহত ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকার প্রবাসী মো. দায়েম মিয়ার বাড়ির সীমানা ঘেষে মো. মফিজ মিয়ার বাড়ির সীমানা। সীমানা ঘেষে প্রবাসীর বাড়ির ভেতরে দখল করে মফিজ মিয়া ভাউন্ডারীর জন্য টিনের বেড়া নির্মাণ কাজ করছেন। ওই সময় প্রবাসী দায়েম মিয়ার স্ত্রী লাবুনি আক্তার টিনের বেড়া নির্মাণে বাধা দেয়। এতে মফিজ ক্ষিপ্ত হয়ে তার সাঙ্গপাঙ্গদের সঙ্গে নিয়ে লাবুনি আক্তারের ওপর হামলা চালালে পূত্রবধূকে বাঁচাতে বৃদ্ধা শাশুড়ি কবিরুন নেছা এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে প্রবাসীর বোন শাহানাজ, শিশু কন্যা শাফা ও শিশু পূত্র জোনাই এর প্রতিবাদ করলে উল্লেখিত প্রতিপক্ষরা তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে। পরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলার হাত থেকে প্রাণে রক্ষা পেতে প্রবাসীর বোন শাহানাজ বেগম ৯৯৯ ফোন করে সাহায্য চেয়েছেন । পরে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের এএস আই সাইফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ব্যাপারে বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, ভূক্তভোগী প্রবাসী মো. দায়েন মিয়ার পরিবার ৯৯৯ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিলেন। এ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এই ঘটনায় প্রতিপক্ষে বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।