নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদদাতা ) : বন্দরে পরকিয়া প্রেমকে কেন্দ্র করে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে শাহানাজ আক্তার(২০)নামে এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুড়িপাড়া এলাকার জাহের মিয়ার ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। আত্মহননকারী শাহানাজ কুড়িপাড়া এলাকার মোরশেদ মিয়ার স্ত্রী ও মো. সোহেল মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, বন্দর কুড়িপাড়া এলাকার সোহেল মিয়ার মেয়ে শাহানাজ আক্তারের সাথে একই এলাকার অটোচালক মোরশেদ মিয়ার বিগত ৫বছর পূর্বে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অমিল দেখা দেয়। তাদের দাম্পত্ত জীবনে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। অটোচালক মোরশেদ মিয়ার উপার্জণ বেশি না হওয়ায় তাদের সাংসারে টানাপোরেন চলছিল। স্বামীর নিদের্শেই স্বচ্ছলভাবে চলার জন্য স্ত্রী শাহানাজ গকুলদাসেরবাগ কয়েল ফ্যাক্টরীতে চাকুরী নেয়। চাকুরী করার সুবাদে শাহানাজের সাথে একই ফ্যাক্টরীর শ্রমিক রানা মিয়ার পরিচয় হয়। শ্রমিক রানা প্রায় সময়ই তার সহকর্মী শাহানাজকে আর্থিক সহযোগীতা করত। ধীরে ধীরে শাহানাজ ও রানার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ১ সন্তানের জননী শাহানাজ তার সহকর্মী রানার সাথে পরকিয়া প্রেমে নিবিরভাবে জড়িয়ে পড়ে। শাহানাজের স্বামী মোরশেদ তাদের অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পারে।
এর ধারাবাহিকতায়, মঙ্গলবার গকুলদাসেরবাগ এলাকায় অটোচালক মোরশেদ তার স্ত্রী শাহানাজ ও রানাকে একত্রে দেখতে পেয়ে গালমন্দ করে বাড়িতে নিয়ে আসে। ওই দিন সন্ধ্যায় স্বামীর সাথে অভিমান করে ক্ষোভে-দু:খে বসত ঘরের আড়ার সাথে দড়ি ঝুলিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। পরে আত্মহননকারী শাহানাজ বেগমের পরিবারের কারো প্রতি কোন অভিযোগ না থাকায় পুলিশ তাদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করেন।
এ ব্যাপারে ধামগড় ফাঁড়ীর এসআই নাহিদ মিয়ার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, আত্মহননকারী শাহানাজ বেগমের স্বজনদের কোন অভিযোগ না হওয়ায় বন্দর থানায় কোন মামলা হয়নি। মৃতদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।