নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : সোনারগাঁয়ে এক ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতার নিয়ন্ত্রনে এখন চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। মাদক বিরোধী জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সঙ্গে মিলে নিজ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষনা করে এখন সে মাদক দ্রব্য ব্যবসা নিয়ন্ত্রনে সক্রিয় অবস্থানে রয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা ও সচেতন মহল মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করতে সমাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন এলাকার প্রায় ১০/১২টি মাদক স্পটে বেচাকেনা নিয়ন্ত্রনে করেছেন। এসব স্পটগুলোতে মাদক ব্যবসা বেশ কিছুদিন নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এ সুযোগ বুঝে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এক নেতা সিন্ডেকেট করে পুরানো ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে নতুন করে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা, বাড়িচিনিস, ভন্দেরা এলাকাসহ ৪/৫টি স্পটে একক নিয়ন্ত্রনে মাদক ব্যবসা শুরু করেছে। ভাজা মাছটি উল্টে খেতে জানে না ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম মোঃ সজিব। সে উপজেলা মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদে সক্রিয়। অনুসন্ধানে জানাযায়, উপজেলা মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ভন্দেরা বাড়িচিনিস এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে সজিব। সজিবের বড় ভাই জাকির হোসেন এক সময়ের চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। তার ছোট ভাই সুমন এখন সরাসরি মাদক বেচা কেনা করে আসছে। সে মোগরাপাড়া এলাকার মঞ্জুর হোসেন এর ছেলে আরমান হত্যা মামলার আসামী। সজিব তাদের পুরনো মাদক ব্যবসার অবস্থান ধরে রাখতে ছাত্র না হয়েও সে এখন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় এক দোকানদার জানিয়েছে, চাঁন মিয়ার ছেলেরা কিভাবে টাকা কামাইছে তা এলাকার মানুষ অজানা নয়। চোঁখের আড়ালে সজিব ও সজিবের ভাইয়েরা কি করছে অজানা নয় কেউ। দলীয় প্রভাবে মূখ খুলে বলার সাহস পাচ্ছে না কেউ । অবৈধ ব্যবসা করে টাকা হলেই যোগ্যতা ছাড়াই রাজনৈতিক দলের নেতা হওয়া যায়। প্রশাসনের চাপে রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা এলাকার মাদক ব্যবসা বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে কিছু দিন মোগরাপাড়া এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন রয়েছে। বর্তমানে ছাত্রলীগ নেতা হিসাবে এলাকার পুরনো ব্যবসায়ীদের ওই ব্যবসায় নামাতে বাধ্য করছে সজিব। মাদক ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করুক বা না করুক এলাকায় থাকলে হলে তাকে টাকা দিয়ে থাকবে হবে। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত ছেড়ে দেয়া মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সজিবের বাকদ্বন্দ্ব চলে আসছে। অনেকেই সজিবকে টাকা দিয়ে নতুন করে এ মাদক ব্যবসা শুরু করেছে। উপজেলা মল্লিকেরপাড়া এলাকার মাদক ব্যবসা প্রশাসনের চাপে বন্ধ করে দিয়েছে জসিমউদ্দিন। বর্তমানের সজিবের নিয়ন্ত্রনে এ মাদক ব্যবসা শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও মোগরাপাড়া এলাকার ৩/৪টি স্পটে সজিবে নিয়ন্ত্রনে মাদক ব্যবসা চলে আসছে। মোগরাপাড়া এলাকার মাদক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এখন আবার নতুন করে মাদক ব্যবসা শুরু হয়েছে বলে এলাকাবাসী তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ প্রশাসন ও র্যাবের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।