নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদ দাতা ) : নারায়ণগঞ্জ বন্দরে পাওনা টাকার বিরোধের জের ধরে এক বালু ব্যবসায়ীকে হাতুরী দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহত বালু ব্যবসায়ী খোকন (৩৫) খোকন মিয়া কুঁড়িপাড়া এলাকার সালাউদ্দিন সালু মাদবরের ছেলে।
২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে বন্দর থানার চাপাতলী পিঠাউলনির ব্রিজের নিচ থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ আল আমিন নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আল আমিন একই এলাকার তাওলাদ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজন সুত্রে জানা গেছে, খোকন বালুমহালে কাজ করতো। ওই মহালের মালিক মদনপুরের অহিদ। মালামাল লোড-আনলোডের টাকা খোকনের কাছে থাকতো। সেই টাকা পড়ে মালিকের কাছে জমা দিতো সে। গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ভল্কেড আনলোড হওয়ার পর ৭০ হাজার টাকা দেয়। সেই টাকা নিয়ে গোডাউন ম্যানেজার ও পূর্ব পরিচিত আল-আমিনের কাছে যায়। আল-আমিনের সাথে তার এক বন্ধুও ছিল সেখানে। এ সময় টাকা আত্মসাৎ ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খোকনের সাথে তাদের মারামারি লেগে যায়। এ সময় আল-আমিন ও তার বন্ধু মিলে খোকনকে হাতুরি দিয়ে পেটায়। পরে খোকনের মৃত্যু হলে তার লাশ গুম করতে বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে দেয়।
এ বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশের পরিতর্শক (তদন্ত) আজহারুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাসায় না ফেরাতে বৃহস্পতিবার রাতে খোকনের স্ত্রী থানায় একটি জিডি করেন। পরে আত্মীয়-স্বজন খোঁজ করতে করতে আল-আমিনের রুমে রক্তমাখা চাদর পায়। পরে আল-আমিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে খুনের বিষয়টি স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্য মতে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয় ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা হাতুড়ি ও ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল সেট এবং নগদ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ২৭নং ওয়ার্ড কুঁড়িপাড়া এলাকার সালাউদ্দিন সালু মাদবরের ছেলে খোকনের সঙ্গে একই এলাকার আওলাদ হোসেনের ছেলে আল আমিনের ব্যবসায়ীক ভাবে পাওনা দেনা নিয়ে বিরোধ চলছিল। পূর্ব বিরোধের জের ধরে বুধবার আল আমিন ও তার সহযোগীরা বালু ব্যবসায়ী খোকনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, টাকা লেনদেন নিয়ে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। অভিযুক্ত আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে।