নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদদাতা ) : বন্দরে চোর আখ্যা দিয়ে ইটভাটার মালিকের মারধরে আহত যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত যুবকের নাম মো. বুলবুল আহম্মেদ (৩৩)। হামলার ঘটনার ১০ দিন পর শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে নিজ বাড়িতে মারা যায় বুলবুল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন কুলচরিত্র এলাকায়। নিহত বুলবুল পদুঘর খাডাইয়া গ্রামের মোজাম্মেল হক সরদারের ছেলে।
নিহতের মা মাজেদা বেগম জানান, ইটভাটাতে ফসলি জমির মাটি কেটে দেওয়া নেওয়া কেন্দ্র করে ১৬ জানুয়ারি দুপুরে পাশ্ববর্তী ফুনকুল গ্রামে অবস্থিত ব্রিক ফিল্ড (পিবিএম) ইটভাটার মালিক রাসেদ, তার ভাই আনিছ, নাইন জিরো টু ব্রিক ফিল্ড (৯০২) ইটভাটার মালিক আলমচাঁন ও মোমেন, আল আমিন ও পদুঘর গ্রামের মাহবুবসহ ১৫/২০ জন লাঠিসোটা নিয়ে বুলবুলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে রাস্তায় ফেলে প্রকাশ্যে এলোপাতারি ভাবে মারধর করে চুরির অপবাদ দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। থানা পুলিশ আদালতে সোপর্দ করলে আদালত শাররীক অবস্থা বিবেচনা করে বুলবুলকে জামিন দেয়। পরে বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে মারা যায়।
পরিচিত ও স্বজনরা অনেকেই নিহত বুলবুলের ছোট সন্তানটি নিয়ে খুব চিন্তিত। এই শিশুটিরও তো ভবিষ্যৎ আছে। তাদের দাবি অন্তত তার একটা ব্যবস্থা করে দেয়া হোক।
গ্রামবাসী ও স্থানীয়রা জানান, ইটভাটার মালিকদের মারধরের পর বুলবুল মারা গেছে। নিহতের পরিবার লাশ দাফন না করে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করা হয়। পরে চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন সিদ্ধান্ত করে দেন। পিবিএম এবং ৯০২ দুই ইটভাটার মালিকরা নিহতের পরিবারকে জরিমানা বাবদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করবে। তার পর বুলবুলের মৃতদেহ বিকালে দাফন করা হয়।
মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ১০-১২ দিন পূর্বে চুরি করার অপরাধে বুলবুল নামের একজনকে মারধর করেছিল এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসলে ১৫৪ ধারায় তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে সে মারা গেছে কিনা আমার জানা নেই। এ ঘটনায় থানায় কারো বিরুদ্ধেও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।