নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ফতুল্লা সংবাদ দাতা ) : ফতুল্লায় স্কুলছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ২ ফেব্রুয়ারি রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ কাশীপুর বড় আমবাগান এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহতের নাম মোনালিসা (১২)। সে দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে অধ্যায়নরত ছিল।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকালে বাবা-মা মোনালিসা ও তার ছোট ভাই শাহেদকে পাশের বাসায় রেখে বাহিরে যায়। যাওয়ার পূর্বে বাড়িতে তালা দিয়ে চাবি পাশের বাসায় দিয়ে গেলেও সন্তানদের কাউকে চাবি দিতে নিষেধ করেন। পরবর্তীতে চাবি নিয়ে মোনালিসা ঘর খোলে এবং ভাই শাহেদ খেলতে চলে যায়। বিকেলে মোনালিসার ছোটভাই শাহেদ খেলা থেকে ফিরে জানালা দিয়ে দেখে বোন ওড়না পেচিঁয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলছে। তাৎক্ষনিকভাবে সে আশপাশের লোকজনদের ডাক দিলে তারা এসে দেখে মোনালিসা ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। তখন স্থানীয়রা তার বাবা-মাকে ফোন দেয়।
এরপর মোনালিসাকে শহরের ১শ’ শয্যা জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ এ সময় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। প্রাথমিক ভাবে আলামত দেখে ডাক্তার বলেন, মৃত্যুর আগে মেয়েটিকে ধর্ষন করা হয়ে থাকতে পারে৷
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেফায়েত উদ্দীন রক্তিম জানান, মেয়েটির শরীরে ধর্ষনের আলামত পাওয়া গেছে৷ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১শ’ শয্যা জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
এদিকে এঘটনার পর থেকে কেমন করে মৃত্যু হলো মোনালিসা’র? শুধুই আত্মহত্যা! নাকি ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে তাকে! মোনালিসা নামের ওই মেয়েটিকে নিয়ে এমনটাই প্রশ্ন এখন সকলের মনে। কেউ কেউ বলছেন মেয়েটিকে নিয়ে যাবার সময় গলায় ওড়নার কোন দাগ দেখতে পাননি তারা। সকলের মনে একটি প্রশ্ন বাসা বেধেছে কিভাবে মৃত্যু হলো মোনালিসার।