নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ফতুল্লা প্রতিনিধি ) : ফতুল্লায় ভাড়াটিয়া কর্তৃক বাড়ির মালিক সেনা কর্মকর্তাসহ পরিবারের ৯ সদস্যকে অচেতন করে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন দেলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার সকালে অচেতন অবস্থায় প্রতিবেশীরা তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। আহতরা হলেন- বাড়ির মালিক আলী আহম্মেদ (৫৮), স্ত্রী আমিরুন্নেছা বেগম (৫০), জোহরা আক্তার (২৮), পপি (২৫),সালমা (২৫), হাবিবা (১৫), শিশু আলী (৮), সুমাইয়া (৭) ও শিশু জান্নাতি (৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ফতুল্লার দেলপাড়া এলাকার একটি ৪তলা বাড়ির দোতলায় মালিক আলী হোসেন তার পরিবারসহ বসবাস করে আসছেন। গতকাল তার বাড়ির ৪তলার ভাড়াটিয়া তাদেরকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানোর কথা বলে বাসায় ডেকে নেয়। পরে খাবারের সাথে চেতনা ণাশক মিশিয়ে তাদেরকে অচেতন করে ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে কি পরিমান মালামাল লুট হয়েছে তা কেউই জানাতে পারেনি। ভাড়াটিয়াদের নাম পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি বলেও জানায় তারা।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মজিবুর রহমান জানান, ধারনা করা হচ্ছে ভাড়াটিয়া পূর্ব পরিকল্পনা করেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। খুব শিঘ্রই অপরাধীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
ঢাকা মেডিকেলে দায়ীত্বরত উপ-পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, একই পরিবারের ৯ জনের মধ্যে ৬জনকে হাসপাতালে ভর্তি নেয়া হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।