ফতুল্লায় বেপরোয়া সোর্স মজিবর, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী এলাকাবাসীর

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (ফতুল্লা সংবাদ দাতা ) : ফতুল্লা থানা পুলিশের সোর্স মজিবরের কারণেই থানা পুলিশের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে সচেতন এলাকাবাসীর অভিমত। এহেন কোন অপকর্ম নেই পুলিশকে সাথে নিয়ে মজিবর না করছে। সাধারণ শ্রমিকদের সহ প্রতি এলাকার যুব ছাত্রদের পকেটে ইয়াবা ভরে দিয়ে সেবনকারী অথবা ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবী সহ না পেলে রিকোভারি দিয়ে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। এমনকি শ্রমিকদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নিচ্ছে।

বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের ফলে প্রতি থানা থেকে কর্মকর্তাদের তিন মাসের বেশি থাকার বিধি নিষেধ থাকায় নতুন নতুন অফিসার এসআই, এএসআই জয়েন্ট করছে সে সুযোগকেই অভিজ্ঞ স্থানীয় সোর্স ধান্দাবাজ মজিবর লুফে নিচ্ছে। প্রতিটি মাদক স্পট থেকে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে মাসোহারা এবং মাদক বিক্রির অভয় দিচ্ছে। তাকে চিনেনা এই রকম পাড়া-মহল্লা খুব কম আছে। পুলিশের সাথে না গিয়েও একা গিয়ে পুলিশের ভয় দেখিয়ে মাদক বিক্রেতাদের ধরে টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেলে। বিশেষ করে বৃহত্তর মাসদাইর এলাকায় মজিবরের বিচরণ লক্ষনীয়। পতেঙ্গা মোড় এলাকায় মাদক বিক্রেতা পরিবারের সন্তান রুবেল ও শুক্কুর এর নামে ওয়ারেন্ট আছে বলে সে একাই গলিতে প্রবেশ করে।

পুলিশ ছাড়া কেন আসছেন চিহ্নিত সোর্স মজিবরকে এলাকাবাসী জিজ্ঞেস করলে মজিবর বলে আমার নামে এসপি সাহেবের কাছে বিচার দেন বা দরখাস্ত দেন, তাতে আমার কোন আসে যায় না। আমি আসবই। ফতুল্লা থানা পুলিশকে আমিই আসামী ধরতে দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকি বলে জোর গলায় উক্ত করে। মজিবরের এহেন কথায় এলাকার বাড়িওয়ালা সহ এলাকাবাসী হতভম্ভ হয়ে পড়ে। তারা বিভিন্ন সাংবাদিককে ফোন দিয়ে মজিবরের দম্ভোক্তির কথা জানান। তারা জানতে চায় মজিবরের ক্ষমতা উৎস কোথায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, থানার কাশীপুর এলাকার দেওয়ান বাড়ী সংলগ্ন মজিবরের বাড়ী। একটি হত্যা মামলায় আসামী হয়ে দীর্ঘদিন ফেরারি জীবন-যাপন করে শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এবং কয়েক বছর জেল খেটে জামিনে মুক্ত হয়ে বেবিটেক্সি চালিয়ে জীবন যাপন করা শুরু করে। এক পর্যায়ে থানা পুলিশ রিকোজিশনের আওতায় তার গাড়ি থানায় ডিউটি করতে গেলে পুলিশের সাথে তার গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে।

এরপর থেকে মজিবর হয়ে উঠে থানার বিখ্যাত সোর্স। তাকে ছাড়া পুলিশ যেন চলতে পারেনা। তাই তার কদর বেশি হওয়ায় তার ক্ষমতাও বেশি। আমরা তার ক্ষমতার সেই উৎস উদ্ঘাটন করেছি মনে হয়। মজিবরের বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের নিকট যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন থানা এলাকার সচেতন নাগরিকগণ।

add-content

আরও খবর

পঠিত