ফতুল্লায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী আটক

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জোসনা (৩৮) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃস্টি হয়েছে। পুলিশ আজ ১৯ই জুন শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে  ফতুল্লা থানার ধর্মগঞ্জ চতলা মাঠেস্থ তার স্বামীর বাড়ী থেকে পুলিশ মৃতদেহ উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত জোসনার স্বামী ইলিয়াস (৫০) কে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। নিহত জোসনা ফতুল্লা মডেল থানার বক্তাবলীর মৃত হাবিবুর রহমান হাবিবের মেয়ে।

নিহতের স্বজনদের দাবী পরকিয়া সম্পর্কের জের ধরে জোসনার স্বামী পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মৃতদেহ ঘরের ভিতরে ফেলে রেখেছিলো।

গৃহবধূ জোসনার ভাই আব্দুল মতিন (৫০) জানান, ২৪ থেকে ২৫ বছর পূর্বে পারিবারিক সম্মতিক্রমে ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠস্থ দর্জি বাড়ীর তাইজুদ্দিন দর্জির পুত্র ইলিয়াস দর্জির সাথে তার বোনের বিয়ে হয়ে। তাদের সংসারে বন্যা (২৩) ও হাফসা (৭) বছর বয়সী দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার বোনের বাসায় রানি নামের একটি মহিলা ভাড়া থাকতো। রানিও বিবাহিত ছিলো। স্বামীকে নিয়েই সেই বাসায় ভাড়ায় থাকতো। সেই মহিলার সাথে তার বোন জামাই ইলিয়াস পরকিয়ায় জড়িয়ে পরে বিষয়টি জানাজানি হলে রানি কে ঐ বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। রানি অনত্র ভাড়ায় চলে গেলেও তার বোন জামাই ইলিয়াসের সাথে পরকিয়ার সম্পর্কটা থেকেই যায়। এ নিয়ে প্রায় সময় তার বোনের সাথে স্বামী ইলিয়াসের ঝগড়া হতো। শুধু কথা কাটাকাটির সীমাবদ্ধ থাকতো না তার বোনের স্বামী প্রায় সময় তার বোন জোসনা কে শারিরীক নির্যাতন করতো। এ নিয়ে পারিবারিক ও  স্থানীয় ভাবে একাধিক বার শালিস বৈঠক ও হয়েছিলো। কিন্তু তারপরেও পরকিয়া সম্পর্ক বজায় রেখেছিলো। এদিকে প্রতিবাদ করলে তার বোনকে প্রতিনিয়ত মারধর করতো আর তাই তাদের ধারনা পরিকল্পিত ভাবে তার বোন কে ১৮ই জুন শুক্রবার রাতে হত্যা করেছে তার বোনের স্বামী ইলিয়াস।

তিনি আরো জানান, তার বোনের মৃত্যুর সংবাদটি বোনের স্বামীর পরিবার থেকে কেউ তাদেরকে জানায়নি। পাশের বাড়ীর লোকজন মোবাইল ফোন করে তাদেরকে তার বোনের মৃত্যুর সংবাদটি জানায়।

ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শাহাদাত জানায়, গৃহবধূ জোসনার মৃতদেহ উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ইলিয়াস কে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান।

add-content

আরও খবর

পঠিত