ফতুল্লায় কেয়ারটেকারকে পিটিয়ে হত্যা ঘটনায় মামলা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ফতুল্লা সংবাদদাতা ) : ফতুল্লার দেলপাড়া এলাকায়  টাকা সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে কেয়ারটেকারকে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হত্যা করেছে স্টার প্যাকেজিং কার্টুন ফ্যাক্টরীর পরিচালক মো. সেলিম পাঠান ও তার সহযোগিরা। এই হত্যার ঘটনায় নিহত আবুল কাশেমের ছেলে নবী উল্লাহ(৪৫) বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলায় সেলিম কে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতনাম৪/৫ জনকে আসামী করেছে। মামলা নং ৩৩(৩)১৮। ধারা ৩০২/২০১ দ.বি:।

সূত্রে জানাযায়, দেলপাড়া এলাকার টেম্পু স্ট্যান্ডে স্টার প্যাকেজিং কার্টুন ফ্যাক্টরী। এর মালিক  সেলিম পাঠান (৪৫) বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে লকনী টাকা নিয়েছে। আর এই টাকার জন্য এলাকার লোকজন কেয়ারটেকার আবুল কাশেম কে নানাভাবে বিরক্ত করে। সেলিম ঠিক মত বেতন ভাতা না দেয়ায় সে গত ৬ মাস আগে চাকুরী ছেড়ে দেয়। অনেক দিন পরে গত ৮ মার্চ তাকে আবার কাজে নেয়। ৯ মার্চ রাতে সকালে ডিউটি ছেড়ে বাসায় গেলে সেলিম আবার আবুল কাশেম কে বাসা থেকে ডেকে আনে। এরপর টাকা পয়সা বিষয়দি নিয়ে তর্ক লাগলে সেলিম ও তার সহযোগিরা রড দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেছে।

পরে রক্ত ঝড়ে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। এ ঘটনার পর এলাকা বাসী সেলিম কে গনধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে। এ ঘটনা ঘটেছে গত শনিবার সকাল সাড়ে টায়। ঘটনা স্থলে পুলিশ গেলে স্থানীয় লোকজন কেয়ারটেকার আবুল কাশেমের লাশ নিয়ে আসতে বাধা প্রদান করে। তাদের দাবী কেয়ারটেকার লাশের সাথে সেলিমের লাশ নিবেন। হত্যাকারী সেলিমকে আমরা হত্যা করবো। ফতুল্লার মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. কামাল উদ্দিন সুকৌশল ও বুদ্ধি পাকিয়ে স্থানীয় জনতাদের সান্তনা দিয়ে কেয়ারটেকারের লাশটি থানায় নিয়ে আসে। জনতার হাত থেকে ঘাতক সেলিম কে গ্রেপ্তার করে  চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

এলাকা সূত্রে জানাযায়, ফতুল্লার কুতুবপুরের দেলপাড়া এলাকার টেম্পু স্ট্যান্ডের সামনে স্টার প্যাকেজিং কার্টুন ফ্যাক্টরী । সেখানে কেয়ারটেকার হিসেবে চাকুরী করে আসছে ঐ এলাকার মো.আবুল কাশেম চৌধুরী (৬৫)। সে মৃত ইমলাত হোসেন চৌধূরীর ছেলে।  ৬ লক্ষ টাকার লেনদেন নিয়ে দু‘জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায় গত শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় সেলিম ও তার সহযোগিরা মিলে নৈশ প্রহরী আবুল কাশেমকে এলোপাথারী ভাবে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। ঘটনাস্থলেই কেয়াটেকার নিহত হন। পরে এলাকাবাসী সেলিমকে আটক করে তাকেও মারধর করে। এসময় সেলিমের সহযোগিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

add-content

আরও খবর

পঠিত