ফতুল্লায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ সংবাদদাতা ) : ফতুল্লা মডেল থানার এস.আই মিজানের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আদালতে দায়েরকৃত মামলায় গত বৃহষ্পতিবার নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্যাট অশোক কুমার দত্ত এ গ্রেফতারী নির্দেশ দেন। কিন্তু এসআই মিজান অজ্ঞাত কারণে আসমীকে ধরেও বাদির সামনেই ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।

এদিকে আসামী ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিবেদককে ফতুল্লা মডেল থানার এস.আই মিজান বলেন, আসামীদের বাড়িতে যখন গিয়েছি তখন আমার কাছে ওয়ারেন্ট এর কাগজ ছিলোনা। কিন্তু এখনতো আর সেসময় নাই ধরে ছেড়ে দিব। ওয়ারেন্ট যেহেতু হয়েছে যতদ্রুত সম্ভব ধরবো।

জানা গেছে, ফতুল্লা থানাধীণ মাসদাইর এলাকার বাসিন্দা রুমেলা আহসান এর দায়েরকৃত মামলা নং ১৩৭/২০২০।  বাদী রুমেলা আহসান কে বিবাদীরা একাধিকবার অপহরণ চেষ্টা করে এবং অন্যত্র আটকে রেখে সাদা কাগজ ও স্ট্যাম্পে টিপ সই ও স্বাক্ষর করে জাল দলিল তৈরী করে। জাল দলিলের কাগজ নিয়ে তাকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এসব বিষয়ে দায়েরকৃত মামলাটি আদলত আমলে নিয়ে আসামীদের আটক করতে বৃহষ্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে আদালত। পরের দিন শুক্রবার মামলার আইনজীবি এ্যাড সাব্বির এর কাছ থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা গ্রহণ করে ফতুল্লা মডেল থানার এস আই মিজান। একই দিনে গ্রেফতারী পরোয়ানা সহ মামলার বাদীকে সঙ্গে নিয়ে আসামীদের বাড়িতে  গিয়ে মামালার ১ নম্বর আসামী মাহাজারিন ইকবাল অভি (৩৫) কে আটক করে এস আই মিজান। তবে অজ্ঞাত কারণে আবার তাকে ছেড়েও দেয়।

এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী রুমেলা আহসান বলেন, মামলার ১ নাম্বার আসামী মাহাজারিন ইকবাল অভিকে আটক করার পর ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন ফোন করে আসামী কে ছেড়ে দিতে বললে এস আই মিজান আসামী কে ছেড়ে দেয়।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, আসামী মাহাজারিন ইকবাল অভিকে যখন আটক করা হয় তখন আমাদের কাছে ওয়ারেন্ট এর কাগজ আসেনি। তবে এখন আমাদের কাছে ওয়ারেন্ট এর কাগজ এসেছে।  আমরা গ্রেফতার পক্রিয়া শুরু করেছি।

মামলার বিবরণে আরো জানা গেছে, বাদী রুমেলা আহসানের বাবা মো. আহছান ফারুক ওরফে মামুন মাহমুদ। ১৯৯২ সালে ফতুল্লা থানা এলাকার মাসদাইর মৌজায় সাড়ে ১০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে সেখানে ৫ তলা ফাউন্ডেশন নিয়ে ২ তলা নির্মাণ করে ভোগ দখল করা অবস্থায় গত ৫ বছর আগে মারা যান। মৃত্যুর পূর্বে তার অন্য কোন সন্তান না থাকায় একমাত্র মেয়ে মামলার বাদী রুমেলা আহসান কে সম্পত্তি হেবা করে দিয়ে যান। বাবার মৃত্যুর পর বাদী রুমলো আহসান মানসিকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার বাড়ি সহ সম্পত্তি দখলের চক্রান্ত করে মামলার আসামী বাদীর চাচাত ভাই-বোন ও চাচাত বোনদের স্বামী সহ ৮ জন । উল্লেখিত মামলায় বিবাদীরা হলেন, ১) মাহাজারিন ইকবাল অভি (৩৫), ২) সুমাইয়া ইকবাল তীমা (৩৩), ৩) আনোয়ার জাহান (৬০), ৪) আক্তার জাহান ( ৬৬), ৫) আহম্মেদ ফারুক (৬৫), ৬)শরীফুল ইসলাম (৩৮), ৭) হিরু আলম , ৮) শরীফ । এদের মধ্যে ৩, ৪ এবং ৫ নাম্বার আসামী বিদেশে থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আদলত সমন জারী করেছে। এছাড়া বাকি ৫ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছে আদালত।

add-content

আরও খবর

পঠিত